আপার প্ৰাইমারী নিয়ে সমস্যা কিছুতেই সমাধান হচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে ততই আপার প্ৰাইমারী নিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ চার বছরের পর চাকরিপ্রার্থীরা স্বপ্ন দেখে ছিল যে পূজোর ঠিক পরে পরে তাঁরা নতুন কর্মজীবনে যোগদান করবে। কিন্তু না কার্যত তাঁদের আশায় জল ঢেলে দিয়ে আরও কিছু দিন পিছিয়ে যাচ্ছে আপার প্ৰাইমারীতে শিক্ষক নিয়োগ।
কোর্টের নির্দেশে যে অভিযোগ জমা নেওয়ার কাজ শুরু করে ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ তা শেষ হল। এখনও অব্দি বিভিন্ন খবরে প্রকাশিত খবর অনুসারে প্রায় কম বেশি 10,000 থেকে 12,000 অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। এবং এর মধ্যে প্রায় 500 থেকে 700 অভিযোগ এর তাৎপর্যপূর্ণ বলে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে যে মেধা তালিকা কিছু দিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে সেটা পরিবর্তন হতে চলেছে ! এবার কি ভাবে নতুন দেরকে এই মেধাতালিকায় সুযোগ করে দেওয়া হবে সেটাই এখন দেখার। কারণ এখন আপার প্ৰাইমারী সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া টি কোর্টের তত্বাবধানে চলছে। ফলে কিছু পরিবর্তন করতে হলে আগে কোর্টের অনুমতি লাগবে।
এই আপার প্রাইমারী মামলাটি আবার কোর্টে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ,সম্ভবত 15 ই নভেম্বর আবার উঠবে। ফলে নভেম্বরর মধ্যে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ কার্যত প্রায় অসম্ভব !!
তাঁর উপর কোর্ট যদি আপার প্ৰাইমারীর মেধাতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে বলে কমিশনকে ,তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে যাবে !
যে সমস্ত অভিযোগ বেশি জমা পড়েছে তাঁদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল:–
1) টেট এর ওয়েটেজ এর নির্ধারণ এ ভুল।
2) নাম্বার বাড়ানো নিয়ে অভিযোগ ।
3) একাডেমিক স্কোর নির্ধারণ পদ্ধতিতে ভুল ।
4) তথ্য নিয়ে আপডেট নিয়ে কিছু অভিযোগ।
তবে অভিযোগ প্রায় 500 থেকে 700 হলে সেইরকম ভাবে কিছু পরিবর্তন হবে কি না সেই দিকে তাকিয়ে থাকবে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও সেই রকম বড় মাপের কিছু পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। কারণ স্কুল সার্ভিস কমিশন যে শূন্য পদ প্রায় 14,339 টি আগেই ঘোষণা করেছে সেই নিয়ে যে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে আগেই সেখানে প্রায় কম বেশি 26,000 চাকরিপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ফলে নতুন যে পরিবর্তন এর কথা জানা যাচ্ছে মেধাতালিকায়, সেটায় নতুন কিছু নাম কিভাবে সংযোগ করবে সেটাই এখন দেখার ।