প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে । সেটা প্রশ্ন ভুল মামলা, সার্টিফিকেট দেওয়া মামলা, প্রশ্ন পত্র লিক মামলা,2009 সালে নিয়োগ মামলা।সেই রকম ভাবে দেশের শীর্ষ আদালতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা নিয়ে ।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ptti দের মামলা।
গত ২৪ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত ptti ট্রেনিং প্রাপ্তদের নিয়োগের নির্দেশ দেয় ।এবং সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার যে আবেদন করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাই আবেদনটি খারিজ করা হল।
আরও পড়ুন : বসির আহামেড প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
আরও পড়ুন : প্রতিভা মণ্ডলের প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্য সরকারের ‘রিভিউ পিটিশন’ খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
বিতর্কের মূলে তৎকালীন রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ptti(প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ২০০১ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী বাড়তি ২২ নম্বর পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদিত হলেও NCTE (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) অনুমোদিত নয়।
এই বিতর্কে কে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়। এবং সেখানে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট ফলে তারা বারতি ওই 22 নাম্বার পাই নি । পরে তারা শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন ওই PTTI চাকরিপ্রার্থীরা ।
এবং এই মামলার শুনানিতে গত 24 শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায়ে জানিয়ে দেয় যে,ওই সমস্ত মামলাকারীদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। সঙ্গে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যে এই সুবিধা কেবল মাত্র যারা 2010 সালের 31 ডিসেম্বর এর আগে কোর্টে বিচারের জন্য কেস ফাইল করেছেন কেবল তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন।
এর ফলে যারা চাকরিতে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত হয়েছেন তাদের তাঁদের চাকরীতে যে হস্তক্ষেপ না করা হয় এই নির্দেশও সুপ্রিমকোর্ট দিয়েছেন।
ফলে এখন দেখার বিষয় ওই সমস্ত প্রায় 1200 মতন ptti চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শুরু করে রাজ্য সরকার, সেটাই দেখার।