This Post Contents
গতকালে প্রশিক্ষণ ছাড়াই চাকরি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, এটা মূলত ২০২০ (16500 BED COURT CASE) সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের দাবিতে মামলা ! সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ৷
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আরও ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে নাকি, তা বহাল থাকবে এই বিষয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা। বর্তমানে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা প্রশিক্ষণের শর্ত ঠিকঠাক না মেনেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক নির্দেশে বলেছে, বিএড ডিগ্রি প্রাপ্তরা আর প্রাথমিকে চাকরি করতে পারবেন না ৷ এই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বিএড ডিগ্রিধারী ১০ হাজার (16500 BED COURT CASE) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে ।
16500 BED COURT CASE
কবে মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কর্মজীবন শেষ হচ্ছে- দেখুন এখানে ক্লিক করে!
মামলাকারীদের অভিযোগ, এই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষিত হলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজ কোর্স করেননি। ফলে নিয়মানুযায়ী তাঁরা প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। মিতালি রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী-সহ প্রায় তিনশো জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঙ্গলবার একটি মামলা করেছেন হাই কোর্টে। তাঁদের বক্তব্য, এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল ২০২০ সালের (16500 BED COURT CASE) নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। মামলাকারীরা আদালতে আর্জি জানিয়েছেন, ব্রিজ কোর্স না হওয়ায় এই শিক্ষকদের পদ এখনও স্থায়ী হয়নি। তাঁরা এখনও অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবেই রাজ্য সরকারের থেকে ‘বি’ক্যাটাগরিতে বেতন পাচ্ছেন।
ঐ ৩৩৩ জন মামলাকারীর বক্তব্য , এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল 2020 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এঁদের যে ব্রিজ কোর্স হয়নি, তা স্বীকার করেছেন স্বয়ং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি।
আরও জানা গিয়েছে, ঐ প্রাথমিক শিক্ষকেরা প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রামিক শিক্ষক রূপে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা NCTE- এর 28/06/2018 নোটিশ অনুসারে এই চাকরি পেয়েছেন! ঐ নোটিশ অনুসারে তাঁদেরকে চাকরি পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্রিজ কোর্স করতে হতো, কিন্তু তা তাঁরা করেননি ! এখন বর্তমানে, গত ১১ই আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে যে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য যে ডিএলএড ডিগ্রি লাগবে!, তা এঁদের নেই । নিয়ম অনুযায়ী উচ্চপ্রাথমিক বা তার উপরের স্তরের স্কুলে চাকরির জন্য লাগে বিএড প্রশিক্ষণ ।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ঐ ১০,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষিত হলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজ কোর্স করেননি। ফলে নিয়মানুযায়ী তাঁরা প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। মামলাকারীরা আদালতে আর্জি জানিয়েছেন, ব্রিজ কোর্স না হওয়ায় এই শিক্ষকদের পদ এখনও স্থায়ী হয়নি । তাঁরা এখনও অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবেই রাজ্য সরকারের থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে এই অস্থায়ী পদেও আর থাকতে পারবেন না ওই দশ হাজার শিক্ষক ।
আরও পড়ুন: ইন্টারভিউ দিতে হবে না ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকদের!বাতিল হচ্ছে না ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি! স্থগিতাদেশ দিল আদালত!
আরও পড়ুন- {ব্রেকিং নিউজ} পর্ষদ সভাপতি ২০২২ সালের ১১৭৬৫ নিয়োগ সংক্রান্ত আপডট! ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!
গত 11 অগস্ট প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক হতে গেলে ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকতেই হবে । বিএড প্রশিক্ষিতরা আর প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না । এই দিকে 2021 সালের নভেম্বর মাসের আগে (16500 BED COURT CASE) যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে, তা আলাদা বলে দাবি করেছেন ঐ ১০ হাজার চাকরি প্রার্থীরা। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট ঐ রায়ে আগের হয়ে যাওয়া নিয়োগ সম্পর্কে কিছু বলে নি তাই তাঁদের নিয়োগ বৈধ , কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও বিএড প্রশিক্ষিতের প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ বৈধ নয় ।
১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে , তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল 2020 (16500 BED COURT CASE) সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় । কিন্তু এঁরা যেহেতু এখনও অস্থায়ী, তাই স্থায়ী চাকরি পেতে হলে এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে । আর যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা আর প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না, তাই এঁরাও প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।