16500 মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট- CBI কে FIR করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, সেই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য । হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হয়, সেখানে বিচারপতি এই দুর্নীতিকে “ডিজাইন করাপশন” বলে আখ্যা দেন! সেই মামলা এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর বেঞ্চে শুনানিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ! সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এবার এই মামলা শুনবে কোলকাতা হাইকোর্টের অন্য কোনও বেঞ্চ! এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 15ই সেপ্টেম্বর! সেই দিনেই জানা যাবে এই মামলাটি কোন বিচারপতি শুনবেন! এখানে ক্লিক করে এই সম্পর্কে আরও ডিটেলস খবর পড়ুন!
আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন করেও পরে পিছিয়ে এল ইডি! মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জের ড্রাফ্ট জমা দিল ইডি ৷ আর তা দেখেই বিচারক জানতে চাইলেন, তবে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডি’র তদন্ত শেষ, এটাই ধরে নেওয়া যায় ? বৃহস্পতিবার অবশ্য ইডি’র তরফে আদালতে জানানো হয়, আপাতত তদন্ত শেষ হলেও, মানিকের বিরুদ্ধে নতুন চার্জ এলে তবে ফের তা তদন্তের আওতায় আসবে ৷
প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামার পর এবার নিয়োগ-তদন্ত রাজ্যজুড়ে! পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকেই হলফনামা চেয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। এবার আরও একধাপ এগিয়ে এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নামল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। গত ২০০৯ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্য শিক্ষা দফতরের অনুমতি ক্রমে তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে এই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সেই মতো নিয়োগ সংক্রান্ত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১২ সাল নাগাদ পূর্ব সংসদের মাধ্যমে প্রায় ৩৯২৪ জন নিয়োগ হয়। আর সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হন মৃণাল মাইতি নামে এক ব্যক্তি। এখানে ক্লিক করে এই খবরটি আরও বিস্তারিত ভাবে পড়তে পারবেন!
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন! কেন ৫ বছর ধরে আটকে ফাইল? এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ! নামখানার অমরাবতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ধনঞ্জয় সরদার! তিনি ২০১৬ সালে কর্মরত অবস্থায় মারা যান! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুসারে তাঁর জায়গায় ,তাঁর পরিবারের কারোর চাকরি হওয়া কথা!
ঠিক সেই মতন চাকরির জন্য আবেদন জানান ধনঞ্জয়ের ছেলে দীপাঞ্জন! ২০১৮ সালে নাম পাঠায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ! কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি! ঐ পরিবারের হয়নি কোনও চাকরি! আজকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের বেতন বন্ধ করতে হবে এবং ২০১৮-২০২৩-এর মাঝে কোনও চেয়ারম্যান অবসর নিলে তাঁর পেনশন বন্ধ করতে হবে! কেন এত দিন ধরে {প্রায় ৫ বছর} ফাইল ফেলে রাখা হয়েছে সেই তথ্য আগামী শুনানিতে পেশ করতে হবে !