নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ করতে বসে শিক্ষক নেতাদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্ৰী । একদিকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কে চালু না করে,বকেয়া ডিএ আটকে রেখে কেন ক্লাব এবং পূজা কমিটিতে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে কেন ?
প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের দূর-দূরান্তে প্রশাসনিক বদলিতে আপত্তি জানিয়ে সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এক প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা যাচ্ছে । তাঁদের কাছে শিক্ষিকাদেরও কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বদলি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্ৰী। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।
বৈঠকে একাধিক প্রতিনিধি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষকদের কাছে গেলে মহার্ঘ্য ভাতা, বেতন কমিশন ও নির্দিষ্ট বেতন স্কেল নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই। শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য না দিয়ে কি করে ক্লাব ও পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভাতা কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তাঁরা ।
একই ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্নও তুলেন অনেকে । আগে স্কুল পরিচালন সমিতি নিয়োগপত্র দিত এবং ডিআই প্রাথমিক অনুমোদন দিলে শিক্ষকরা বেতন পেতেন কিন্তু এখন গত বছরের ৮ মার্চের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, শিক্ষকদের নিয়োগপত্র ও স্থায়ীকরণে সম্মতি দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । এতে সদ্য নিযুক্তদের বেতন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই যাতে পুরাতন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয় সেই নিয়েও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে ।
Organize teacher recruitment