করোনার যেরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল।দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চলছে লকডাউন।এর ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত অফিস আদালত প্রায় বন্ধ। এর প্রভাব পরছে দেশের অর্থনীতিতে।
রাজ্য সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী।সেখানে তিনি একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করেন।তিনি জানান যে,এমন কঠিন আর্থিক সঙ্কটেও মাসের ১ তারিখের মধ্যে সকলের বেতন (salary)হয়েছে।তিনি আরও জানান যে,অন্য অনেক রাজ্য বেতনের (salary) বড় অংশ কেটে নিলেও রাজ্য তা করছে না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট চললেও মাসের ১ তারিখের মধ্যে সকলের বেতন হয়েছে। ৩৫ লক্ষ ১০ হাজার ২০০ জনকে দু’মাসের সামাজিক সুরক্ষা পেনশন দেওয়া হয়েছে। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশ বেতন দেওয়া হয়নি, আমরা এত সমস্যার মধ্যেও কারও বেতন আটকাইনি, বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যাঁদের পেনশন দেওয়া হয়, তাঁদের অগ্রিম দু’মাসের টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জয় বাংলা, জয় জোহার প্রকল্পেও মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। আমরা চাই, বেসরকারি সংস্থাগুলিও যেন কর্মীদের বেতন দিয়ে দেয়, তারাও কষ্টে আছে জানি।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যাতে না বাড়ে, তার জন্য সর্বদা নজর রাখছে সরকার। রেশন দোকানের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, তবে কোথাও কোথাও দেখছি বড্ড হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, দূরে দূরে থাকুন সবাই রেশন পাবেন। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজে বেড়াচ্ছে, কেউ কেউ বলছেন রেশনের চাল-গম দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ধরনের অপপ্রচার করবেন না। এই কঠিন সময়ে রাজনীতি করবেন না।”
করোনার মোকাবিলায় রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা প্রশংসা করা যায় ততটা কম হবে।তিনি নিজে বাজারে বাজারে গিয়ে যেমন মানুষ জনকে এই আপদ থেকে সচেতন করছেন।ঠিক তেমনই নবান্নের সব সময় আমলাদের সঙ্গে এবং ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন।
আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল গঠন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সেই ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করছে । কিন্তু কোরোনার কারণে রাজ্যের অর্থনীতি খুব সংকটে । এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্য খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে রাজ্যের কাছে । তাই তিনি সাধারণ মানুষকে সেই ত্রাণ তহবিলে সামর্থ্য অনুসারে অর্থ দান করতে বলেছেন।
তিনি ঐ ফাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরেন।তিনি জানান যে,”ঐ ফাণ্ডে আয়করের ছাড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি ৷ যদি কেউ এখানে অনুদান দিতে চাই তাদের ইনকাম ট্যাক্স ফ্রি থাকবে৷’’
কিছু দিন আগেই নবান্ন থেকে নোটিশ জারি করে “Emergency Relief Fund” গঠন করা হয়।কি রয়েছে ঐ ফাণ্ডে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এই রকম আরও নিউজ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
There is no plan to extend the 21 day National lockdown
১ মাসের অগ্রিম বেতন পাবেন কর্মচারীরা,রাজ্যে লকডাউননের সময়সীমা বাড়ল