পে-কমিশনের ভবিষ্যৎযেমন একদিকে ঝুলে রয়েছে,ঠিক অপর দিকে ডিএ বকেয়া হয়ে পড়ে রয়েছে । যা নিয়ে মামলা করেছিলেন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ মামলা করেছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) এবং পরে কোলকাতা হাইকোর্টে । ইতিমধ্যেয় কোলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়েছিল যে ডিএ কোনও দয়ার দান নয় এটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীর অধিকার।
কোলকাতা হাইকোর্ট সেই রাইয়ে আরও জানিয়ে ছিল যে, স্যাট কে নির্ধারণ করতে হবে কর্মচারীদের ডিএ হার। গত ১৮ জুন সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। রায়দান ‘রিজার্ভ’ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে চলতি মাসের মধ্যেই স্যাটের বিচারকরা ডিএ সংক্রান্ত চূড়ান্ত রায় জানাতে পারেন।
স্যাট ডিএ নিয়ে কর্মীদের পক্ষে ইতিবাচক রায় দিলে সরকার তাকে চ্যালেঞ্জ করে আদৌ উচ্চ আদালতে যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেয় কোলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার রায় শুনিয়ে দিয়েছে । স্বভাবতই স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গেলে এক্ষেত্রে তারা মামলাটি নাও শুনতে পারে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অপর দিকে লোকসভা ভোটের পোস্টাল ব্যালট যা ফলাফল তা দেখে রাজ্য সরকার দেশের শীর্ষ আদালতে না যেতেও পারে কারণ সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ ফের মাথা চাড়া দিতে পারে আশঙ্কায় প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে যে,স্যাটের রায় মেনে নিয়ে কর্মীদের ডিএ নিয়ে সুখবর শোনাতে পারে মমতার সরকার। এখন দেখার বিষয় এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয় ।