মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৬ জুলাই ডিএ মামলার রায় দেয় স্যাট। স্যাট রায়ে জানিয়ে দেয় যে কেন্দ্রীয় হারে বছরে দু বার নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে অর্থাৎ cpi infleation মেনে কর্মচারীদের ডিএ দিতে হবে। স্যাটের সেই রায়ের কপি জমা পড়েছে নবান্নে বলে খবর এবং কনফেডারেশন অফ সেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়েজি পক্ষ থেকে এই রায় এর সার্টিফায়েড কপি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এবার দীর্ঘ অপেক্ষায় পর কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন? না রাজ্য সরকার আবার এই মামলা কে উচ্চতর আদালতে নিয়ে যাবে ?
এই উত্তর জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে । কারণ সরকারের কাছে যথেস্ট সময় আছে এই মামলা নিয়ে ভাবতে।
স্যাট রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেবার জন্য একটি নীতি গঠন করতে বলেছে এবং সেই নীতি ছ’ মাসের মধ্যে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। তাই ওই ছয় মাস সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অপর দিকে মলয় মুখোপাধ্যায় সাধারণ সম্পাদক কনফেডারেশন অফ সেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়েজি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্য সরকার যদি এই মামলাকে উচ্চতর আদালতে নিয়ে যায় তাহলে তাঁরা ঐ আইনি লড়াই করতে প্রস্তুত।
গত ২৬ জুলাই ডিএ মামলার রায় দেয় স্যাট। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও রায় নিয়ে সরকারের তরফে কিছু বলা হয়নি।খবরে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে নবান্নে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান দেখা করেছেন অর্থমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু দিন আগে। অনেক অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন তাঁদের মধ্যে এই স্যাট এর রায় নিয়ে আলোচনা হলেও হতে পারে। আবার পে কমিশনের চেয়ারম্যান সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন এই তথ্য তিনি ডিএ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্যের এক্তিয়ার এর মধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেন।পে কমিশনের ডিএ নিয়ে কিছু করার নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার ব্যাপারে ছ’মাসের মধ্যে নীতি ঘোষণা করতে হবে সরকারকে। এক বছর বা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার মধ্যে যেটি আগে হবে, তার মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে বলেছে স্যাট। এখন দেখার বিষয় এই যে রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলাটি নিয়ে কোনও আপডেট বেরিয়ে আসে কি না।