গতকালকে পে প্রোটেকশনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা।
কারণ আগেই বিধান সভায় শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়টি নিয়ে সমাধান করবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।কিন্তু এতদিন পার হয়ে গেলেও কোনও গভ: অর্ডার না আসায় এই অভিযান বলে জানা যাচ্ছে ।
তবে গতকালকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও বিকাশ ভবন আধিকারিক দের কাছ থেকে সেই রকম কোনও আশ্বাস তাঁরা পায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
আধিকারিকদের কথায় এখনই পে প্রোটেকশন দেওয়া নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে উচ্চতর স্কেলে যোগ দেওয়া কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশনকে মান্যতা দিয়ে খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কাছাকাছি স্কুল পাওয়ার জন্য যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষায় বসে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা এখনও প্রারম্ভিক বেতনই পাচ্ছেন। তাঁদের বিষয়ে অবশ্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনও সুখবর নেই।
কেন এই সমস্যা??আধিকারিক দের মতে এর জন্য সরকারি নির্দেশিকা দায়ী। কারণ,শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল,কর্মরত শিক্ষকরা একই স্কেলের জন্য যেন পরীক্ষায় না বসেন। অর্থাৎ, একই স্কেলের(pg to pg and tg to tg) শিক্ষকরা কাছাকাছি স্কুল পাওয়ার জন্য ফের পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।তবে,গ্র্যাজুয়েট স্কেলের শিক্ষকরা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কেলের জন্য তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই ছিল ব্যাখ্যা।
এর পিছনে সরকারি যুক্তি ছিল, কর্মরত শিক্ষকরা পরীক্ষায় বসে পুরাতন স্কুল থেকে নতুন স্কুলে গেলেও সেই সমস্ত শুন্য পদ গুলি পূরণ হয় না। কারণ, ওই শিক্ষকরা নিজের স্কুল ছেড়ে নতুন জায়গায় যোগ দিলেও পুরনো স্কুলে ফের শূন্যপদ তৈরি হয়। এটা চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে। ফলে সমস্যায় পড়েন বেকাররা। ফলে ওই সমস্ত শুন্য পদ আর পূরণ হয়না।
সরকারের আরও যুক্তি ছিল যে, বাড়ির কাছাকাছি আসার জন্য পরীক্ষায় বসার দরকার নেই আর তার বদলে বদলির জন্য আবেদন করুন। শুন্য পদ গুলো এই ভাবে ব্লক করা কোনও মানে হয় না।
কিন্তু শিক্ষকদের একাংশ এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় এবং আদালত থেকে পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র আদায় করে আনেন। কিন্তু তাঁদের নিয়োগও পর বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাঁরা যে স্কেলেই নিয়োগ পেয়ে থাকুন না কেন, তাঁদের আগের সিনিয়রিটিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি পে প্রোটেকশনের। তাঁরা নবনিযুক্ত পোস্টে যে স্কেলে যোগ দিয়েছিলেন, সেটারই প্রারম্ভিক বেতন (ইনিশিয়াল পে) । ফলে একজন শিক্ষক যিনি 10 থেকে 15 বছর চাকরী করেছেন তাঁর মাসিক বেতনের লসের পরিমাণ প্রায় 10 থেকে 12 হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে।