“suspension of classes due to heat conditions”
মানে কি শুধু ছাত্রদের ছুটি শিক্ষকদের কি ছুটি নেয় ???
এই নির্দেশিকায় আরও একটি বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। তা হল, শিক্ষকরা কি স্কুলে যাবেন? নির্দেশিকায় ক্লাস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও, শিক্ষকরা যাবেন কি না, তার কোনও উল্লেখ নেই। ফলে শিক্ষকদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, আমাদের যেতে হবে কি? আবার অপর অংশের মতে, পড়ুয়ারাই যেখানে থাকবে না, আমরা গিয়ে করবই বা কী? স্কুল শিক্ষা দপ্তর মত অনুযায়ী, এই বাড়তি ছুটিতে বাচ্চারা না গেলেও, শিক্ষকদের কিন্তু স্কুলে যেতে হবে। তবে স্কুলভিত্তিক যেখানে যেমন গরমের ছুটি নির্ধারিত ছিল, তখন কী হবে, তার জন্য একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তা বেরতে পারে।
শিক্ষা দপ্তরের মত অনুযায়ী বাচ্চাদের সুস্থ থাকাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া জুনে যদি আবহাওয়ার উন্নতি হয়, তখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গরমের ছুটিতে যা নিময় আছে, তাই তাঁরা পালন করবে৷ কোনও অসুবিধা নেই তো তাতে৷’’
স্কুল ছুটির নয়া বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, কাটল ধোঁয়াশা শিক্ষা দপ্তর থেকেও ৩ ও ৪ তারিখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ ফনি প্রভাবিত আট জেলার জন্য তা কার্যকর হবে৷
এখন আসা যাক কোলকাতা হাইকোর্টের যে অর্ডার রয়েছে ২০১৫ সালে ,ঠিক এই রকম নোটিশ জারি করে বলা হয়েছিল
“suspension of classes due to extreme heat wave”
৮ থেকে ১৩ জুন স্কুল ছুটি থাকবে ,কোনও ক্লাস হবে না। রাজ্য সরকারের এই নোটিশ এ বলা হয় শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতা বালিকা বিদ্যামন্দির এর ২৩ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা ৯ থেকে ১৩ জুন স্কুলে আসেননি। এর জন্য স্কুল কতৃপক্ষ ঐ শিক্ষক -শিক্ষিকাদের স্কুল অনুপস্থিত দেখায়। এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন এই নিয়ে সেই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন যে ক্লাস যেহেতু বন্ধ,তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনো ভাবেই স্কুলে আস্তে বাধ্য করা যাবে না। ক্লাস না চলাকালীন কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা চাইলে স্কুলে আসতে পারেন। কিন্তু ২০১৫ সালের শিক্ষদপ্তরের নোটিশ এবং ২০১৯ সালের নোটিশ এর মধ্যে পার্থক্য আছে যেটা underline করা আছে ।
তাই পুরাতন অর্থাৎ ২০১৫ সালের ভিত্তিতে হাইকোর্টের অর্ডার এখন ২০১৯ সালের শিক্ষাদপ্তরের অর্ডারের ভিত্তিতে তার কোনও কার্য কারিতা নেই বলে মনে করা হচ্ছে।