Kolkata High Court:আগামী দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে, কড়া নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন ঐ সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী দু’মাসের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ করতে বলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) ১২/০৫/২০২৩ তারিখে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিলেন। যদিও এই মামলা এখনও ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে, ঠিক তখন তাঁর এজলাসেই আবার আশার আলো দেখা গেল বুধবার। এদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় ৭১ জনকে অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে। ২৬৩ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে আশার আলো দেখছেন তাঁরা।
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াইয়ের পর সাফল্য পেলেন ঐ সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। ৭১ জনকে দু’মাসের মধ্যে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা (Kolkata High Court) হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অন্যায় করেছে বলেও বুধবার নির্দেশে জানান ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷
খবর উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে দাবি তুলে ২০১২ সালে ওই প্রক্রিয়াকে বাতিল করে বর্তমান রাজ্য সরকার। পরে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২০১৪ সালে তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হলে তাতে অংশগ্রহণ করেন প্রার্থীরা। পাশও করেন তাঁরা। কিন্তু ২০২২ সালে ৭১ জন মামলা করে দাবি করেন, তাঁরা যোগ্য হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে আবেদন না করা, পরীক্ষায় না বসা, উপযুক্ত নম্বর না থাকা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সে সময় শূন্যপদ ছিল প্রায় ১২০০-এর কাছাকাছি। ১২০০ শূন্যপদ থাকলেও তাঁরা পাস করার পরও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ডিভিশন বেঞ্চে ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট!
বুধবার শুনানি শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, এই প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই দু’মাসের মধ্যে এই প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে বলেও সাফ নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত সুত্রে খবর, ২০২২ সালে মামলা (Kolkata High Court) করেন সুব্রত জানা, সুব্রত রক্ষিত সহ একাধিক প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ ছিল, যে সব প্রার্থীর কাট অফ মার্কস নেই, আবেদন করেননি, লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি তাঁদেরও নাকি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি বলে দাবি করেন মামলাকারীরা।
যদিও যারা ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষক হিসাবে চাকরি করছেন তাদের তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য বসু জানান, “তাদের সমস্ত রকম নথিপত্র আছে। তারা পরীক্ষা দিয়েই যোগ্য বিবেচিত হয়ে চাকরি করছেন।” এদিন বিচারপতি অবশ্য কোনও চাকরিরত শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেননি।
Kolkata High Court
এই দিকে মুখ্যমন্ত্রী ৩৬,০০০ (পরে কোর্টে এটা সংশোধন করে ৩২,০০০ হয়েছে) সোমবার দিন নবান্নের একটি প্রেস কনফারেন্স (নীচে সেই ভিডিও দেওয়া হয়েছে) করেন! সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,‘অনেকেই আমাকে ফোন করেছেন এবং দেখা করতে চাইছেন। চাকরি বাতিলের কারণে অবসাদে ভুগছেন অনেকে। আমাদের সাহায্য চাইছেন। আদালতের বিচারাধীন বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে সরকারের কী অবস্থান তা বলব। নতুন নিয়োগ করা যাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাব। আইনত যতদূত লড়া সম্ভব আমরা করব। দয়া করে কেউ অবসাদে ভুগবেন না।’ ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন,‘ডিএ নিয়ে চিৎকার করছে, তাদের জন্য ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেলে।’
Mithhe kothar jhuri….apni parchen na chere din cm er sit ta…..barite giye fuluri vajun…chere din sit ta please