কল মহার্ঘ ভাতা থেকে পে-কমিশন ইস্যুতে ফের সরকারি কর্মীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ আজ হাওড়ার সরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন “সব সময় দাউ দাউ,কোথা থেকে আসবে টাকা আসবে সেই কথা কেও চিন্তা করছে না ”
সরকারি কর্মীদের পেশন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ত্রিপুরা আর বাংলা একমাত্র পেনশন দিত৷ ত্রিপুরা পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে৷ কিন্তু বাংলা এখনও করেনি৷ ৫৬ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করেও আমরা ১২৩% মহার্ঘ ভাতা দিয়ে চলেছি৷ এক তারিখে শিক্ষকরা বেতন পান৷ আগে পেতেন না৷ এখন পেনশনটাও পাওয়া যায়৷”
তিনি উক্ত সভায় আরও জানিয়েছেন যে ,
যে কিছু হলেই সবাই রাস্তায় বসে পড়ছে
অনশনের নামে নানান দাবি পূরণের আন্দোলন চলছে৷ তিনি জানান কিছু লোক চাইছে জনগণের কাজ না করে শুধু তাদের বেতন বৃদ্ধি হোক। শুধু তাদের কাজ হোক ৷কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, দু’টাকা কেজি দরে চালের টাকা বন্ধ করে দাও এবং শুধু তাদের মাইনে বাড়িয়ে দাও!
বেতন কমিশন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন যে, ‘‘পে কমিশন যেটা প্রস্তাব করবে, যতটা আমাদের কুলাবে ততটা আমরা করব৷’’ পার্শ্বশিক্ষকদের বার্তা, ‘‘আমি পার্থ দাকে জিজ্ঞাসা করছিলাম এটা কি হচ্ছে বলুন তো? ২০১২ সালে প্যারাটিচার বেতন বেতন ৪ হাজার টাকা ২০১৮ সালে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় বেশি করা হল৷ তার পরও বলছে বেতন বাড়াও৷প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব? রাজ্য সরকার এত টাকা কোথা থেকে আসবে ? কেন্দ্রকে বলুন রাজ্যকে রিজার্ভ ব্যাংক খুলে দিতে৷ আমরা রাজ্যে ধর্মঘট বন্ধ হয়ে দিয়েছি৷ এই সব চলবে না৷’’
পার্শ্বশিক্ষকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা দিচ্ছে না৷ এক বছর আগে প্যারা টিচারদের মাইনে বাড়ানো হয়েছে৷”
যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গোটা রাজ্যজুড়ে চলছে শিক্ষক অসন্তোষ৷ একদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন এর TGT-PGTস্কেল নিয়ে মাধ্যমিকে শিক্ষকদের আন্দোলন, SSK-MSK শিক্ষকদের আন্দোলন ,এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷
এবং মনে করা হচ্ছে যে আগামী দিনে এই রকম আন্দোলন রাজ্য সরকার আরও কঠোর হতে দমন করবে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল মনে করছে।