This Post Contents
Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024: এবার রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত যুক্ত হতে চলেছে! নয়া শর্ত হল “নেগেটিভ মার্কিং”-এর! অর্থাৎ ভুল উত্তর দিলে কাটা যাবে নম্বর! এই নতুন নিয়ম শিক্ষক নিয়োগে চালু করতে চায় কমিশন। এটিকে “নেগেটিভ মার্কিং” বলা (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) হয় এবং এর অর্থ হল কেউ যদি ভুল উত্তর পায়, তাহলে তারা নম্বর কাটা যাবে! এই নতুন প্রক্রিয়া কিভাবে বাস্তবে রূপান্তর করা যাবে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা এবং ড্রাফটিং- এর কাজ! এই নতুন প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের যুক্তি হচ্ছে- এই প্রক্রিয়ায় সেরা শিক্ষক খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিশ দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন!
কমিশনের চেয়ারম্যান মনে করেন এটি (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) একটি ভাল ধারণা ! কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভালভাবে যোগ্যতার বিচার করে, আরও উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে! তারা নতুন নিয়ম তৈরির কাজ করছে এবং এটি অনুমোদন পেলে পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে। কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পরিবর্তনও করছে, যেমন প্রার্থীদের তাদের উত্তরপত্র রাখতে দেওয়া এবং ইন্টারভিউ এবং কাউন্সেলিং ফিরিয়ে আনা।
Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024
এই নতুন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়, যদি কেউ একটি ভুল উত্তর দেন তাহলে সে নম্বর পাওয়ার পরিবর্তে, সে নম্বর হারাবে! একে “নেগেটিভ মার্কিং” বলে। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকেরা এটি করতে চায় যাতে তারা আরও ভালভাবে দেখতে পারে যে চাকরির জন্য সেরা প্রার্থী চাকরি পান। তারা মনে করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য “নেগেটিভ মার্কিং (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! কারণ এর মাধ্যমে সঠিক মেধার বিচার হয়! কমিশন চান না কেবল অনুমানের ভিত্তিতে চাকরি প্রার্থীরা প্রশ্নের উত্তর দিক!
নেগেটিভ মার্কিং (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) মানে ভুল উত্তর দিলে আপনার কিছু মার্ক কেটে নেওয়া হবে। শুধু অনুমান করার পরিবর্তে, কেউ আসলেই কতটা ভালভাবে বুঝতে পেরেছে তা বিচার করার এটি একটি ভাল উপায়। শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া কমিশন পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য এই নিয়ম যুক্ত করার কথা ভাবছে। তারা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক ডিগ্রির ভিত্তিতে মার্কস দেওয়া হবে না!
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আমি সবসময় নেগেটিভ মার্কিং-এর পক্ষপাতী। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনুমানের কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়। নেগেটিভ মার্কিং থাকলে অর্থাৎ ভুল উত্তর দিলে নম্বর কাটা গেলে যোগ্যতার বিচারটা অনেক ভাল হয়। নেগেটিভ মার্কিং থাকলে অর্থাৎ ভুল উত্তর দিলে নম্বর কাটা গেলে যোগ্যতার বিচারটা ভাল হয় ৷অনুমান করে নম্বর পাওয়া যায় না। তাই আমি ১০০ শতাংশ নেগেটিভ মার্কিং-এর পক্ষে।”
বর্তমানে মাদ্রাসা কমিশন যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) সেখানে কমিশন চাইলে নেগেটিভ মার্কিং চালু করতে পারে-বিধিতে এই শর্ত উল্লেখ করেছে! যে নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিধি প্রস্তুত করছে কমিশন,সেখানে নেগেটিভ (Negative Marking on WB Teachers Recruitment 2024) মার্কিং এর বিষয়টি শর্ত বিধিতে অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে! নতুন নিয়োগ বিধি স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন দিলে পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাতেই চালু হয়ে যাবে বলে খবর! ভুল উত্তরে নম্বর কাটার নতুন নিয়ম। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে অ্যাকাডেমিক ডিগ্রির ভিত্তিতে নম্বর (অ্যাকাডেমিক স্কোর) না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশ।
কি কি পরিবর্তন আসছে সেটা এক নজরে দেখে নিনি!
১. রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের এবং প্রাথমিক পর্ষদ সম্প্রতি যে ২০১৭ সালের নোটিফিকেশন অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছে ঠিক সেই মতো এ বার এসএসসিতেও পরীক্ষার পরে প্রশ্নপত্রের মডেল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে! |
২. মডেল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করার পরে যদি কোনও প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সংশয় বা আপত্তি থাকলে, সেটা কমিশনে নির্দিষ্ট সময়ের (এক- দু সপ্তাহের) মধ্যে জানাতে হবে! সেটা অনালাইনে{মেল করে} বা অফলাইনে{অফিস ভিজিট করে} জানানো যাবে ! |
৩.কমিশন মডেল উত্তরের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তর পত্র টেলি করে দেখবে। যদি উত্তর পত্র নিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা থাকে তাহলে সেই জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে ! সেই বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই অধ্যাপক সমতুল পদের হবেন। পুনরায় তাঁদের মতামত নিয়ে সংশোধিত অ্যানসার-কি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। |
৪. বিশেষজ্ঞ কমিটির নির্ধারিত উত্তরই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত করা হবে ! |
৫. পরিবর্তিত যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ শুরু করা হবে, তাতে দু’টি ধাপে পরীক্ষার{প্রিলিমিনারি ও বিষয়ভিত্তিক} প্রস্তাব রয়েছে,২০২০ সালের নিয়োগ বিধির মতন! |
৬. পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটে, মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনস (MCQ) থাকবে। |
৭. “নেগেটিভ মার্কিং” থাকছে! (যদি অনুমোদন মেলে!) |
৮. পরীক্ষায় কার্বন কপি ব্যবহার করা হবে! পরীক্ষার শেষে চাকরিপ্রার্থীরা ওএমআর শিটের কার্বন কপির ডুপ্লিকেট কপি পাবেন! যা তাঁরা বাড়িও নিয়ে যেতে পারবেন। |
৯. অ্যাকাডেমিক নম্বর তুলে দেওয়া হচ্ছে! |
১০. ২০২০-এর আগের নিয়োগ বিধির মতো এসএসসি-র নিয়োগে ইন্টারভিউ ফিরছে, ইন্টারভিউয়ে ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে! |
১১. সমস্ত প্রক্রিয়া সফল ভাবে সাফল্য লাভ করে প্যানেলে নাম উঠলে স্কুল বাছাইয়ের জন্য কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ থাকছে! |
এবার ২০২৪ শিক্ষক নিয়োগের নতুন নিয়মে {WBSSC New Recruitment Rules 2022} যে দুটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে তাহল অ্যাকাডেমিক নম্বর তুলে দেওয়া এবং ইন্টারভিউ ফেরানো নিয়ে! নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এতদিন পরীক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক স্কোর -অর্থাৎ, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষণে নম্বর বরাদ্দ থাকত এবং মেরিট লিস্টে তার উল্লেখ থাকতো।
এক দশক আগের সঙ্গে বর্তমান সময়ের মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেও উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বরের ফারাক বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। চাকরির ক্ষেত্রে ০.৫ বা ১ নম্বরের পার্থক্যেই কেউ নিয়োগপত্র পায়। কেউ রয়ে যায় বেকারের তকমা নিয়েই। তাই এই নিয়ম পরিবর্তন করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন!
FAQs
নেগেটিভ মার্কিং মানে কি ?
নেগেটিভ মার্কিং এর অর্থ হল কিছু ভুল প্রশ্নের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর কাটা! উদাহরণ সরূপ- একজন ক্যান্ডিডেট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮০ টি উত্তর সঠিক দিয়েছে কিন্তু সে ২০ টি নম্বর ভুল দিয়েছে! এই ক্ষেত্রে যদি ৪ টে ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর করে কাটা হয় তাহলে ২০ টি ভুল উত্তরের জন্য তার ৫ নম্বর কাটা হবে ! এর ফলে তার প্রাপ্ত নম্বর কমে হবে ৭৫!
নতুন নিয়োগ বিধিতে কি ইন্টারভিউ ফিরছে?
হ্যাঁ , স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধিতে কি ইন্টারভিউ ফিরছে!
নতুন নিয়োগ বিধিতে কি একাডেমিক উঠে যাচ্ছে?
হ্যাঁ , স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধিতে একাডেমিক উঠে যাচ্ছে!
ইন্টারভিউয় এর জন্য কত নম্বর বরাদ্দ থাকবে?
ইন্টারভিউয়ের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে!
ওএমআর শিটের প্রতিলিপি কি বাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হবে ?
হ্যাঁ, ওএমআর শিটের প্রতিলিপি বাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হবে !
ওএমআর শিট কত বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে?
তিন বছরের পরিবর্তে ১০ বছর ওএমআর সংরক্ষণ করা হবে!
নতুন নিয়ম আসুক আপত্তি নেই কিন্তু যেটা আন্তরিক ভাবে চাই সেটা হলো স্বচ্ছতা… টাকা দিয়ে চাকরি নয়।
যেমন আগে ভাবতাম ভালো পড়াশোনা করলে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে চাকরির পরীক্ষা দিলে কেউ আটকাতে পারবে না তেমনটা যেন এখন ভাবতে পারে ছাত্রছাত্রীরা।