লোকসভা ভোটের গণনা পর্বের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের নজর এখন দুটি নির্দেশিকা কবে জারি হবে, সেদিকেই তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী।
প্রথমটি হল উৎসব বোনাস ও অগ্রিম দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি। অনেক দিন আগে থেকেই এই বোনাস দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যায় অর্থদপ্তর থেকে কিন্তু যেহেতু এবার লোকসভা নির্বাচন ছিল তাই এবার তা ঘোষণা হয় নি। এই বোনাস ও অগ্রিমের টাকা দুভাগে দেওয়া হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের কর্মচারীদের দুর্গাপুজোর সময় এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কর্মচারীদের ঈদের সময়। আগামী মাসের গোড়ার দিকে ঈদ। তার আগেই উৎসব বোনাস ও অগ্রিমের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলে কর্মী মহলের আশা। নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির সময়সীমা ২৭ মে শেষ হওয়ার কথা। তার পরেই উৎসব বোনাস-অগ্রিমের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে ।
অন্য যে সরকারি নির্দেশিকাটির জন্য সরকারি কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সেটি হল ষষ্ঠ বেতন কমিশন সম্পর্কিত।
গত ২৫ নভেম্বর বেতন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ছ’মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই সময়সীমা চলতি সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে।
কিন্তু বেতন কমিশনের মেয়াদ আরও একবার বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত সামনে আসেনি ।
অপর দিকে বেতন কমিশন এখনও নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলির বক্তব্য শোনার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয় নি। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত অর্থ দপ্তর এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে।
এবং অনেক রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে পে কমিশনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ফল। তবে কিছু অবিজ্ঞ মহল এর মতে দু-পর্যায়ে বেতন কমিশন তাঁদের রিপোর্ট জমা করবে।
লোকসভা ভোটের পর্ব শেষ হওয়ার পর কমিশন বেতন সংক্রান্ত প্রথম পর্যায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করলেও অন্যান্য যেমন বাড়ি ভাড়া ভাতা, মেডিকেল,পেনশন ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করতেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ কিছুটা হলেও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে পরিষ্কার হয়ে যাবে পে কমিশনের ভবিষ্যৎ।
Hobe na
Hobe na