কেনও এখনও চালু হচ্ছে না “পে প্রোটেকশন” ? চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মাত্র নোটিশের জন্য মিলছে না ন্যায্য বেতন। ৪ থেকে ১৬ বছর চাকরি করার পর এখন তাঁদের মাসিক বেতন এক ধাক্কায় ৫-১০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে ৷ কারও কারও মাসিক লোকসানের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্তও রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশনের কথা জানালেও তা এখনও কার্যকর হয়নি ৷ ফলে বেজায় অখুশি কর্মরত শিক্ষকদের একাংশ । তাই তাঁরা আজ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান এবং ধর্না প্রদর্শন করেন । এই ধর্না প্রদর্শন মূলত মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা করেন বলে জানা যাচ্ছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, কর্মরত অবস্থায় যখন তাঁরা বেশি বেতনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যাচ্ছেন বা অনেক শিক্ষক বাড়ির কাছে আসতে পারবে বলে নতুন পরীক্ষায় বসে চাকরীটা পাচ্ছেন এবার ঐ শিক্ষকরা যখন নতুন স্কুলে যোগদান করে জানতে পারছেন যে , তাঁদের ইনিশিয়াল পে তে বেতন নিতে হবে ৷ মিলবে না কোনও কনটিনিউয়েশন বা “পে প্রোটেকশন” ।
ফলে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরও শুধু মাত্র আধিকারিক দের জন্য তাঁরা “পে প্রোটেকশন” থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন । আজ যখন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করা হয় তখন তিনি জানিয়েছেন যে , শিক্ষকদের “পে প্রোটেকশন” অনুমোদন তিনি দিয়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু,শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁরা এখনও কার্যকর করতে পারেননি ৷ ফাইল আটকে আছে বিকাশ ভবনে ৷
এই কথা শুনে আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি “পে প্রোটেকশনের” নির্দেশ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা না হলে বিকাশ ভবনেই ধর্নায় বসার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।