This Post Contents
PPP model school West Bengal- PPP {পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে} মডেল ইন এডুকেশন সিস্টেম{PPP model school West Bengal PPP}। এই মডেল শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বনাশ ডেকে আনবে! শিক্ষায় যৌথ উদ্যোগের ভাবনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা বাতিল জানালেন শিক্ষা সচিব!
PPP model school West Bengal
এই মুহূর্তে শিক্ষাক্ষেত্রে পিপিপি মডেল নিয়ে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । বিভিন্ন নিউজপেপার এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে খবর করতে দেখা গিয়েছে। তবে সর্বশেষ যে আপডেট এবং খবর বেরিয়ে আসছে এই PPP মডেল নিয়ে সেটা হল,জানা গিয়েছে যে, মনীশ জৈন্য,শিক্ষা সচিব, জানিয়েছেন যে,এই রকম কোনো চিন্তা ভাবনা বা নির্দেশিকা সরকারের তরফে জারি করা হয় নি।
যদি কোন ড্রাফ্ট হয়ে থাকে ,তাহলে তা বাতিল করা হয়েছে বলে বুধবার রাতে তিনি জানিয়েছেন। যৌথ উদ্যোগের জন্য মতামত চেয়ে জারি করা একটি সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে শুরু হয় চর্চা । বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেই খবরাখবর তুলে ধরে। কিন্তু বুধবার রাতে অবশ্যই এই খবরটি খন্ডন করা হয় শিক্ষা দপ্তরের এবং শিক্ষা সচিবের পক্ষ থেকে। তিনি এই খবরটিকে খন্ডন করেছেন এবং বলেছেন , এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়নি । যদি প্রকাশিত হয়ে থাকে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই গুঞ্জন শুরু হয় যখন একটি খসড়া পিপিপি {PPP model school West Bengal} মডেল নিয়ে একটি নির্দেশিকা সামনে আসে এবং সেখানে রাজ্য সরকারের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল(PPP) এর কথা উল্লেখ করা হয় শিক্ষাক্ষেত্রে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সেই নির্দেশিকা ছড়িয়ে পরে। যে নোটিশ ছড়িয়ে পরে সর্বত্র, সেই নোটিশে ছিল না কোনও সরকারি নির্দেশিকা নাম্বার, যেটাকে মেমো নাম্বার বলা হয় ,ঠিক তেমনই ছিল না নির্দেশিকা প্রকাশের দিনক্ষণ। আধিকারিক এর তরফে এর সত্যতা নিয়ে প্রথমে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।এই নির্দেশিকা ঠিক নয় বলে বুধবার রাতে শিক্ষা দপ্তরের উচ্চ মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই খসড়া নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষা মহলের একাংশ।
বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের দাবি, যদি সত্যি সত্যিই পিপিপি মডেল শিক্ষাক্ষেত্রে হয়ে যায় তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রে এক সর্বনাশ ডেকে আনবে । এই বিষয় নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন।এই বিষয় বস্তু তার সূত্রপাত হয় যখন আদানি গোষ্ঠীর কর্মধার নবান্নে এসে দেখা করেন। এর পর তার পুত্র নবান্নে এসে সাক্ষাৎ করেন।
তবে যদিও বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে এবং প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে, এই সাক্ষাৎকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য হয়েছে। এটা শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য নয়।
কি রয়েছে এই পিপিপি মডেল ?
জানা গিয়েছে এই মডেলে রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি করণের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য ! এর জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেল আনতে পারে। রাজ্যের শিক্ষার মান উন্নতি করতে রাজ্য সরকার এই পরিকল্পনা বলে খবরে উঠে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আদতে এই নীতি সার্বিক শিক্ষাকে শেষ করে দেবে।
PPP model school West Bengal
সেই খসড়া নীতিতে জানানো হয়েছে, সরকার জমি-বাড়ি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো দেবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারী পিপিপি মডেলে বাংলা অথবা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করবে। বিনিয়োগকারী সংস্থায় ঠিক করবে কোন বোর্ডের অধীনে স্কুল হবে এবং তার ফী কত হবে। শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ এর ক্ষমতা থাকবে সেই বিনিয়োগকারীর হাতেই বলে ঐ খসড়া নীতিতে জানানো হয়েছে!
যদিও এই খসড়া নীতি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখা যায় শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন এবং শিক্ষকদের তরফে প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়েছে এই পিপিপি মডেল নিয়ে।
যদি প্রায় সমস্ত মতকে একত্রিত করা যায় তাহলে বেশিরভাগ মত এটা বলছে যে ,রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পিপিপি মডেল চালু করা যাবে না ।কারণ এটা শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অশনী সংকেত ডেকে আনবে। যেখানে শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে 6 থেকে 14 বছর পর্যন্ত শিশু শিক্ষার অধিকার রয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সেখানে এরকম কোন নীতি লাগু করা যাবে না এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা কে কেড়ে নেওয়া যাবেনা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষাকে সাজাবে না ।
PPP model school West Bengal
যদিও আবার আমরা আপডেট তুলে ধরছি ,ঐ খসড়া নীতি লাগু নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব মাননীয় শ্রী মণীশ জৈন্য । ঐ নির্দেশশিকা গতকাল রাতেই তিনি বাতিল ঘোষণা করেছেন। এরকম যৌথ উদ্যোগের কোনো চিন্তা-ভাবনা রাজ্য সরকারের নেই এবং যে নোটিশটা দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার কোনো সত্যতা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন, গতকালকে।
I HATE this PPP model