This Post Contents
Primary Recruitment Case 2023– প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য ২০১৪ সালে যে-পরীক্ষা (টেট) নেওয়া হয়েছিল,তাতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার সওয়াল-জবাব পর্ব শুক্রবার শেষ হয়েছে! যদিও রায়দান স্থগিত রাখেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যার পরই জল্পনা তৈরি হয়েছে, ২০১৪-র টেট-এ বসা সকল পরীক্ষার্থীই কি পাবেন বাড়তি নম্বর ? সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চাইল কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের বেঞ্চ আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চাইল।
২০১৪ সালে ২০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী টেট দেন। ওই পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেন ১৭৫ জন। পরে আরও কয়েক জন তাতে যোগ দেন। এরপরে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে জানানো হয়, প্রাথমিক টেট ২০১৪-এর প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। হাই কোর্ট জানিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব পক্ষের বক্তব্য জানাতে হবে।
WB Primary Interview 2023- চাকরি প্রার্থীদের নতুন নামের লিস্ট,আগে ইন্টার ভিউ নেওয়া হবে,নোটিশ দিল পর্ষদ- এই খবরটা পড়তে এবং নোটিশ পেতে এখানে ক্লি করুন।
প্রায় ৫ বছর ধরে চলছিল শুনানি প্রক্রিয়া। অবশেষে, তা শেষ হল শুক্রবার। যদিও ২০১৪-র টেট-এ ছয় প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলার রায়দান এদিন স্থগিত রাখল হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। যার পরই জল্পনা তৈরি হয়েছে, ২০১৪-র টেট-এ বসা সকল পরীক্ষার্থীই কি পাবেন বাড়তি নম্বর ? প্রথমে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা (Primary Recruitment Case 2023) করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন হয় কমিটি। যার পর প্রশ্নে ভুল রয়েছে বলেই জানায় বিশ্বভারতীর কমিটি। ২০১৮ সালে মামলাকারীদের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বাড়তি নম্বর দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর কোলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল মাননীয়া বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন-তার এই মামলার রায় শুধুমাত্র মামলকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে । এই নির্দেশ সব পরীক্ষার্থীর জন্যই কার্যকর করতে হবে এই দাবি তুলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন হাজার হাজার পরীক্ষার্থী। যে মামলার শুনানিই গতকালে শেষ হয়েছে। যার রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মাসের মধ্যে এই মামলার রায় চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে!
২০১৮ সালে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। পরে সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছয় মামলা। বসির আহমেদ নামে এক প্রার্থী সিঙ্গেল এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, “আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ৬ নম্বরের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই এই নির্দেশ সব পরীক্ষার্থীর জন্যই কার্যকর করতে হবে।”
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ৬ প্রশ্ন ভুলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফের ফেরে হাইকোর্ট ডিভিশন (Primary Recruitment Case 2023) বেঞ্চে ফেরত পাঠায়।
[PDF]Primary Schools Teachers Recruitment interview List 2022- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ লিস্ট,- এই খবরটা পড়তে এবং নোটিশ পেতে এখানে ক্লি করুন।
Primary Recruitment Case 2023
২০১৪ সালে ২০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী টেট দেন। |
পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। |
লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন ১০-১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার জন। |
২০১৬-য় আয়োজিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। সেই দফায় ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিযুক্ত হন। |
ওই পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেন ১৭৫ জন। |
পরে আরও কয়েক জন তাতে যোগ দেন। ২০১৮ সালে এ নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। |
অতিরিক্ত ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। |
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। |
এই দিকে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে অনেক চাকরি প্রার্থী মামলা ও করেন,তাদেরকেও ঐ নাম্বার দিতে হবে বলে। |
ডিভিশন বেঞ্চে সমস্ত প্রশ্ন ভুল মামলা কে MAT 1594/2018 মামলায় ট্যাগ করার নির্দেশ দেয়। |
এবার ঐ সমস্ত মামলা একসঙ্গে শুনানি হয় । যার শুনানি শেষ হয় গত কালকে। |
TET 2022 official answer key- কখন প্রকাশিত হবে অফিশিয়াল answer key,কবে শুরু হচ্ছে ২০১৪ ও ২০১৭ নিয়োগ প্রক্রিয়ার?- ক্লিক করুন এখানে এই নিউজ টা পড়তে।
Primary Recruitment Case 2023-এখন মামলাকারীর সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবীদের দাবি, শুধু মামলাকারীরা নন, যাঁরা ওই ভুল প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই নম্বর দেওয়া হোক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই দাবি খারিজ করে জানিয়েছে, এত জনকে নম্বর ফের দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দাবি, “ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তির ৮ বছর পেরিয়েছে। বহু প্রার্থী চাকরি করছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে এতজনের নম্বর বদল করতে গেলে ফের শংসাপত্রে বদল আনতে হবে।” শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাই কোর্ট।
এখনও পর্যন্ত শুধু প্রতিভা মণ্ডল সহ ২০১৭-র মামলাকারীরাই ৬টি ভুল প্রশ্নের জন্য অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। তাঁদের অনেকের চাকরিও হয়েছে। এখন এই ৬ ভুল প্রশ্নের নম্বর শুধু মামলাকারীরা পাবেন, নাকি সব পরীক্ষার্থীই পাবেন, তার সিদ্ধান্ত হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে। এদিন শুনানি শেষ হওয়ার পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, “২০১৪ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জন্য খারাপ একটি বছর।” আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক পর্ষদ,মামলাকারী সহ সবপক্ষকে নিজের বক্তব্য (মামলার সব পক্ষকে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই দিন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি বা এই মাসেই এই মামলার ফাইনাল জাজমেন্ট (Primary Recruitment Case 2023) আসবে বলে মনে করা হচ্ছে!
FAQs
প্রথম প্রশ্ন ভুল মামলার রায় কবে আসে ২০১৪ টেটকে কেন্দ্র করে?
২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এই মামলার রায় প্রথম সামনে আসে!
ডিভিশন বেঞ্চে যে বর্তমানে প্রশ্ন ভুল মামলা চলছে তার কেস নাম্বার কি?
MAT 1594/2018 .
প্রশ্ন মামলা থেকে এখনও অব্দি কত জনের চাকরি হয়েছে?
সঠিক ভাবে এই সংখ্যা বলা কঠিন, কিন্তু বিভিন্ন যে সমস্ত আপডেট সামনে এসেছে তাতে ৫০০ জনের কাছা কাছি হতে পারে!
ফের এই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে কবে উঠবে?
আগামী ২০শে জানুয়ারি(সম্ভবত)!