Primary Teachers Recruitment 2022 Academic Number Calculation- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আদালতের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রাথমিক টেটের যোগ্যতা নির্ণায়ক পদ্ধতিতে বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। এই রিট আবেদনটি 16 জন আবেদনকারীর দ্বারা দায়ের করা হয়েছে যাদের সকলেই 2004 বা তার আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা (মাধ্যমিক) এবং 2006 বা তার আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।
২০০৪ এর মাধ্যমিক এবং ২০০৬ এর উচ্চ মাধ্যমিক এর পরবর্তী সময়ে মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং প্রশ্নের ধরনে আমূল বদল আসার কারণে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়ে যাচ্ছে। অথচ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল নম্বরের সঙ্গে এই নম্বরগুলিরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের তরফে যোগ্যতা নির্ণায়ক পদ্ধতিতে বদল আনার আবেদন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষাগুলিতে প্রাপ্ত নম্বরের হার বাড়ছে। অভিযোগ, গত প্রায় দু’দশকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত গড় নম্বরের হারও বেড়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে তাই সাম্প্রতিককালে পাস করা প্রার্থীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। তুলনায় ২০০৬ সালের আগে পাস করা প্রার্থীরা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই মামলায়।
Primary Teachers Recruitment 2022 Academic Number Calculation
একটি affidavit কোর্টে পেশ করা হয় সেখানে দেখা যাচ্ছে- 2005 সালে সর্বোচ্চ নম্বরের শতাংশ ছিল 98.25% কিন্তু 2007 থেকে তা 99% এর উপরে। একই সংযুক্তি থেকে দেখা যায় যে 2006 সালে পাসের শতাংশ ছিল 64.95% এবং 2007 সালে পাসের শতাংশ ছিল 74.57% এবং 2022 সালে তা 86.60% হয়। তাই পাসের শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বরের শতাংশ বেড়েছে ,সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ২৫ জানুয়ারি কমিটি এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট হাই কোর্টকে জমা দেবে।
এই নিয়ে কোর্টের অর্ডার কপি ডাউনলোড করতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
উল্লিখিত হলফনামা/প্রতিবেদনের সংযোজন থেকে দেখা যায় যে 2006 সালে বা তার আগে প্রথম বিভাগের শতাংশ 10% এর নিচে ছিল কিন্তু 2006 থেকে প্রথম বিভাগের শতাংশ বাড়তে শুরু করে এবং 2022 সালে তা 78.50% পর্যন্ত পৌঁছেছিল। প্রথম বিভাগ পরীক্ষায় ৬০% নম্বর পাচ্ছে। 2006 সালে পাসের হার ছিল 67.25 এবং তারপরে এটি বাড়তে শুরু করে যা 2022 সালে এখন 88.44%।
Primary Teachers Recruitment 2022- 2006 সালের আগে পাসের হার ছিল 63% এর নিচে। একটি গ্রাফিকাল উপস্থাপনা থেকে যা কাউন্সিলের উল্লিখিত প্রতিবেদনের সাথে বছর-ভিত্তিক পাসের শতাংশের সংযোজন, এটি প্রতীয়মান হয় যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি প্রথম বিভাগের বছরের ভিত্তিক শতাংশের হিসাবে, যা এই হলফনামা/প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত আরেকটি নথি থেকে দেখা যায়।
মামলাকারীর আরও দাবি, শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের নিরিখে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ক্ষেত্রেও বিস্তর তারতম্য থেকে যাচ্ছে। সেই মামলাতেই ওই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। রাজ্যের আইনজীবীর মাধ্যমে এই কমিটি গড়া নিশ্চিত করতেও আদালত নির্দেশ দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা কোনওভাবেই বাধা না পান, তা আদালত দেখবে বলে বিচারপতি উল্লেখ করেছেন।
এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সকল প্রার্থীকে একই ধরনের প্রশ্নপত্রের মুখোমুখি হতে হবে। একজন প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষায় মোট নম্বর গণনা করা হয় একাডেমিক স্কোর ,ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি, ট্রেনিং এর স্কোর ইত্যাদির ভিত্তিতে। এটি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ ২০১৬ বিধিমালার দেওয়া আছে।
Primary Teachers Recruitment 2022– তারতম্যের সমতা বজায় রাখার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্র ওই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নেতৃত্ব দেবেন। বাকি দুই সদস্যের মধ্যে একজনের নাম দেবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব। আর একজনের নাম দেবেন মামলাকারী। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই নাম জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী 25শে জানুয়ারী, 2023 তারিখে রাজ্যের জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে কমিটিকে তার রিপোর্ট দাখিল করার জন্য অনুরোধ করবে যখন এই বিষয়টি আবার তালিকায় উপস্থিত হবে।
এই মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী। প্রাইমারি টেট ২০২২ এর মডেল উত্তর পত্র দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন। কারণ এর প্রভাব পরবে ২০২২(Primary Teachers Recruitment 2022) শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে।