দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর প্রাথমিক শিক্ষক রূপে নিয়োগ করার জন্য সময় সীমা বেঁধে দেয় দেশের সর্বচ্চ আদালত। এর ফলে পুজোর আগেই সুখবর প্রায় প্রায় হাজার খানেক মামলাকারী চাকরীপ্রার্থী । তাঁরা নতুন কর্ম জীবনে যোগও দিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু বেশ কিছু মামলাকারী চাকরীপ্রার্থী এখনও চাকরী পাইনি বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর বেরিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে যারা চাকরি পেয়েছে এবং যারা চাকরি পাই নি তাঁদের সম্পূর্ণ লিস্ট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কি এই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলা??
বিতর্কের মূলে তৎকালীন রাজ্যর বাম সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ptti(প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ২০০১ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী বাড়তি ২২ নম্বর পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদিত হলেও NCTE (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) অনুমোদিত নয়।
এই বিতর্কে কে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়। এবং সেখানে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট ফলে তারা বারতি ওই 22 নাম্বার পাই নি । পরে তারা শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন ওই PTTI চাকরিপ্রার্থীরা ।এবং এই মামলার শুনানিতে গত 24 শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায়ে জানিয়ে দেয় যে,ওই সমস্ত মামলাকারীদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। সঙ্গে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যে এই সুবিধা কেবল মাত্র যারা 2010 সালের 31 ডিসেম্বর এর আগে কোর্টে বিচারের জন্য কেস ফাইল করেছেন কেবল তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন।
কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পালন করেনি এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সচিব পর্যায়ের অফিসারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন আবেদনকারীরা। সেই মামলার শুনানিতে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত এবং এর ফলে আদালত অবমাননার মামলা আর বহাল রাখল না সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রায় ১২০০ জন ptti চাকরিপ্রার্থীরা মধ্যে যাদের চাকরি এখনও হয়নি সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের ছাড়পত্র দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতির বেঞ্চ।
primary recruitment latest news and update news click here |