প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে মামলার জালে। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর প্রাথমিকে কোনও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা টেটে হয়নি। যেটা লাস্ট পরীক্ষা হয়েছিল সেটা হয়েছিল ২০১৫ সালে ,জার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেই বছরেই অর্থাৎ ২০১৭ সালে প্রাথমিকে টেটে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে ফর্ম ফিল্লাপ হয় । কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পার হবার পরও শিক্ষক নিয়োগ ,শূন্য পদ নিয়ে কোনও আপডেট বেড়িয়ে আসে নি।
কিছু দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন যে পুজোর ঠিক পরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু তারপর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন আপডেট বেড়িয়ে আসেনি । ফলে গভীর চিন্তার ভাঁজ পরে চাকরীপ্রার্থীদের মধ্যে। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থও হয় নতুন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। যেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
আজ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ খবর বেড়িয়ে আসছে যে, পুজোর পরেই রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষা (টেট) নিতে চায়।সে জন্য ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে যাতে সমস্ত দিক তাঁরা ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে। কারণ টেট বিগত টেট পরীক্ষা নিয়ে বিস্তর অনিয়ম এর অভিযোগ ওঠে এবং সেই নিয়ে মামলাও হয়। জার জন্য এখন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে।
আরও পড়ুন : বসির আহামেড প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
আরও পড়ুন : প্রতিভা মণ্ডলের প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
আগেও আপনাদের জানানো হয়েছে যে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে শিক্ষা দপ্তর স্কুলে স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষক অনুপাত ভালো ভাবে দেখবে। ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ঠিক রেখে শূন্য পদ পর্যালোচনা করে তবেই শিক্ষক নিয়োগের বেপারে সবুজ সংকেত দেবে শিক্ষা দপ্তর বলে জানা যাচ্ছে।
আরও জানা যাচ্ছে সর্বস্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর এবং অনেক রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে পুজোর পরেই রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষা (টেট) নিতে চায় বলে এমন সিধান্ত ।