দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেক মামলা ও রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে।এর মধ্যে ট্রেনিং প্রাপ্তদের জন্য খুশির খবর বেরিয়ে এসেছে।
Ptti ট্রেনিং প্রাপ্তদের জন্য খুব একটা ভালো খবর বেরিয়ে এসেছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা নিয়ে। আপনারা জানেন যে, সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত ptti ট্রেনিং প্রাপ্তরা কোর্টে মামলা করেছিলেন তাদের কে নির্দিষ্ট সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। এই নিয়ে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য রবিবার জানান একটি সংবাদ পত্রকে জানিয়েছেন যে ,সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঐ মামালাকারী ptti ট্রেনিং প্রাপ্তদের নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে।
মানিক বাবু জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যে তাঁদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে যারা যোগ্য প্রাথী তাদেরকে নিয়োগ পত্র দেওয়ায় হবে।অপর দিকে ভুল প্রশ্ন মামলা থেকে কবে নিয়োগ করা হবে বা তাদের নিয়ে প্রাথমিক পর্ষদ থেকে কোনও আপডেট বেরিয়ে আসে নি। তবে 19 শে সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের শিক্ষা সচিবকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত আদালত তার আগে বা ওই দিন কোনও আপডেট বেরিয়ে আসে কি না সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে আরও হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীরা ।
আরও পড়ুন : বসির আহামেড প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
আরও পড়ুন : প্রতিভা মণ্ডলের প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্য সরকারের ‘রিভিউ পিটিশন’ খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে এবং তা করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ।
বিতর্কের মূলে তৎকালীন রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ptti(প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ২০০১ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী বাড়তি ২২ নম্বর পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদিত হলেও NCTE (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) অনুমোদিত নয়।
এই বিতর্কে কে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়। এবং সেখানে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট ফলে তারা বারতি ওই 22 নাম্বার পাই নি । পরে তারা শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন ওই PTTI চাকরিপ্রার্থীরা ।
এবং এই মামলার শুনানিতে গত 24 শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায়ে জানিয়ে দেয় যে,ওই সমস্ত মামলাকারীদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। সঙ্গে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যে এই সুবিধা কেবল মাত্র যারা 2010 সালের 31 ডিসেম্বর এর আগে কোর্টে বিচারের জন্য কেস ফাইল করেছেন কেবল তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন।
এর ফলে যারা চাকরিতে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত হয়েছেন তাদের তাঁদের চাকরীতে যে হস্তক্ষেপ না করা হয় এই নির্দেশও সুপ্রিমকোর্ট দিয়েছেন।