সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করেছে। চাকরীপ্রার্থীরা আন্দোলন করেছে নিয়োগ নিয়ে । নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে কোর্টে। কখনো ভুল প্রশ্নও মামলা, প্রশ্ন লীক মামলা, ট্রেনিং এর নাম্বার না পাওয়া নিয়ে এবং অনিয়ম নিয়ে । আগস্ট মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রায় বেরিয়ে এসেছে কোলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে।
গত সোমবার যে রায় দিয়েছে মহামান্য উচ্চ আদালত সেই রায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি ফ্রন্ট লাইন নিউজ পেপার কে জানিয়েছেন যে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে আসলে মুখ পুড়ল বামফ্রন্টের। ওই আমলেই প্রাথমিকে চাকরি না-পেয়ে মামলা করেন বেশ কিছু প্রার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার স্পর্ধা আমাদের নেই,’’
এখন প্রশ্নও উঠছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কী ভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? এই বিষয়ে যতটুকু জানা যাচ্ছে যে, কোর্টের নির্দেশ ভালো করে দেখার পর রাজ্য সরকার তাঁদের নির্দেশিকা বের করবে। কারণ এই মামলাটি অনেক পুরাতন মামলা, তাঁদের বয়স থেকে তাঁদের আরও বিভিন্ন বিষয় গুলোকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন : প্রতিভা মণ্ডলের প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নও মামলার খবর
আরও পড়ুন : বসির আহমেদ এর কোর্ট কেসের ১৩ আগস্ট এর orders কপি
যদি এই কেসটি লক্ষ্য করা হয় তাহলে দেখা যাবে , ২০০৬ সালে বাম আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাঁরা এক বছরের বেসিক ট্রেনিং নিয়েছেন, তাঁরা ২২ নম্বর পাবেন। কিন্তু ২০০৯-এ নিয়োগের প্যানেল তৈরির সময় প্রশিক্ষিত কিছু প্রার্থীকে ওই ২২ নম্বর দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁরা চাকরীও পাইনি। তাই ঐ সমস্ত চাকরীপ্রার্থী কোলকাতা হাইকোর্টে মামালা দায়ের করেন এবং পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের রায়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে ঐ সমস্ত মামলাকারী দের কে চাকরীর নির্দেশ দেয়। কিন্তু কিছু শর্ত দেয় যে ঐ সুযোগ কেবল যারা ৩১শে ডিসেম্বর ২০১০ সালে বা তাঁরও আগে মামলা করেছেন কেবল মাত্র তারই সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন BED ট্রেনিং প্রাপ্তরা কি প্রাথমিকে বসতে পারবে ? এই নিয়ে কি কোনও কেস আছে ?
এর পর আবার সেই মামলার শুনানিতে গত সোমবার শিক্ষক নিয়োগের চুড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। ptti দের মামলা রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিটিটিআই মামলাকারীদের চাকরি দিতে হবে।