মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ই-গভর্নিং ব্যবস্থার উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন।আজ সময়ে বেতন দিতে ভরসা সেই ই-গভর্নিং ব্যবস্থার উপর।এখন করোনার লকডাউনের জেরে সরকারি অফিস বন্ধ। তাসত্ত্বেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথা সময়েই বেতন পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তার পরের দিন অর্থাৎ ২ রা এপ্রিল ,মার্চের বেতন হাতে পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মচারীরা।এর সঙ্গে সরকারি এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা,পুরসভা, পঞ্চায়েত এর কর্মীরাও নির্ধারিত সময়েই বেতন পাবেন বলে খবরে বেরিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এর ফলে স্কুল,অফিস, আদালত কার্যত বন্ধ।জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং অফিসাররা ছাড়া বাকিদের অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের বেতন কিভাবে হবে সেই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কর্মচারীরা।
জানা গিয়েছে কর্মচারীদের বেতন দিতে এবার কর্মী নন ভরসা কম্পিউটারের উপর । অর্থাৎ সেই ই-গভর্নিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বেতন ধুকে যাবে সমস্ত কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
আরও জানা গিয়েছে এই বেতন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হতে পারে এপ্রিল মাসের ২ তারিখে। ক্ষমতায় আসার পরই ই-গভর্নিং চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ সেই ব্যবস্থা উজ্জ্বল রূপ দেখাচ্ছে। করোনার জেরে অফিস বন্ধ হওয়ার জেরে সরকার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর মন্ত্রে জোর দিয়েছে। ফলে কাজ অনেক সহজও হয়ে পরেছে।
আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই সিস্টেম আবার নতুন কি ? হ্যাঁ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল অনেক আগে থেকেই।আপনারা জানেন যে,সরকার IFMS(আইএফএমএস পোর্টাল) এবং HRMS(হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ) চালু করেছে । ঐ সমস্ত সিস্টেমে সমস্ত কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় রেকর্ড নথিভুক্ত করা আছে। তার ভিত্তিতেই অনলাইনে কর্মীদের মাসপয়লার বেতন সরাসরি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।
[ বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যের তহবিলে অনুদান দিলেই মিলবে বিশেষ ছাড় ]