করোনার ধাক্কায় স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। আদৌ হবে TET ? এই নিয়ে চিন্তিত চাকরিপ্রার্থীরা।
আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন যে রাজ্যে লকডাউন এর সময়সীমা দের বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল অব্দি করা হল। এই দিকে স্কুলে স্কুলে ছুটির সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ ই জুন অব্দি করা হয়েছে। কারন এই সময় স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি পরে যায় । সেটাকে এই লকডাউনের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
লকডাউনের জেরে গভীর অনিশ্চয়তা বাংলা,দেশের এবং বিশ্বের চাকরির বাজারে ৷ একাধিক শূন্য পদ রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে । করোনার কারনে থকমে রয়েছে সবকিছুই৷ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধু থমকে রয়েছে করোনার কারনে বলা ভুল হবে,কারন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার আর একটি প্রধান কারন হল মামলা।
স্কুল সার্ভিস কমিসন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ,আপার প্রাইমারি বাদ দিয়ে তা প্রায় শেষের দিকে। লাটে উঠেছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। যার যেরে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে বাংলার কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ৷
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়গের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাঁচ বছর পরও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি অনিয়মের জেরে ৷ মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও, শুরু হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া , মামলার কারনে। এর ফলে প্রায় ১৪,৩৩০ পদে শিক্ষক নিয়োগ আটকে রয়েছে । হাইকোর্টে মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি ৷ এমন পরিস্তিতিতে শুনানিও হচ্ছে না কোর্ট বন্ধ থাকার কারনের।
অপরদিকে করোনার পরিস্থিতির জেরে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতা সামাল দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে৷ জারি করা হয়েছে নাবান্নের থেকে নোটিশ। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের অনুমতি ছাড়া অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ হবে না ।
অপরদিকে, চরম অনিশ্চিত প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ৷ ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ জমা নেওয়া হয় ফি । কিন্তু সেই নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও জানাতে পারেনি প্রাথমিক পর্ষদ।ফলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও সংশয় ঘনিয়ে এসেছে ৷
অনেক শিক্ষক সংগঠন এবং অভিজ্ঞ মহলের মতে সামনেই বিধানসভার ভোট । এর ফলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। কিছু কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দাবি,এই করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিল সত্যি,কিন্তু নতুন বছরে বা তাঁর আগে এই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। আর যে কেস গুলো চলছে সেই গুলো কোর্টের নির্দেশ মত নিয়োগ হবে । কোর্ট যে ভাবে দিক নির্দেশন দেবে সেই ভাবেই নিয়োগ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ এবং মামলার আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ এবং মামলার আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন