This Post Contents
এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খবর! কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মেধা তালিকা (UPPER PRIMARY MERIT LIST) প্রকাশ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন! গতকালকে রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের এক মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,এক সপ্তাহের মধ্যে মেধা এবং তালিকা এবং ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমান তালিকা (UPPER PRIMARY MERIT LIST) প্রকাশ করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি।
আর ঠিক মত সেই কাজ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন! জানা গেছে খুব সম্ভবত মঙ্গলবার সেই তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন (UPPER PRIMARY MERIT LIST) তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারে! তবে তারা আপাতত কোনও নিয়োগ করতে পারবে না।
BED VS DELED- ইফেক্ট কি ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উপর পড়বে? বড় প্রশ্নের মুখে 2022 সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।- এখানে ক্লিক করে এই গুরুত্বপূর্ণ নিউজটি পড়ুন!
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আট বছর আগে লিখিত পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও এখনও চাকরির আশায় বসে রয়েছেন প্রার্থীরা। আগের প্রকাশিত নোটিশ অনুসারে এই স্তরে মোট শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ১৪,৩৩৯ টি! আগামী ৩১ অগস্ট পরবর্তী শুনানি রয়েছে , সেখানে কোর্ট ঐ দিন এই মামলার রায় দেওয়ার সময় কত শূন্য পদ রয়েছে সেটাও এডভোট জেনারেল কে জানাতে বলেন!
যে পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়েছে তাতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে (UPPER PRIMARY MERIT LIST) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক দল চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ইন্টারভিউ নেওয়ার পরে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমন করা যায় না। ।
UPPER PRIMARY MERIT LIST– আপার প্রাইমারি যাবতীয় আপডেট এবং মেধাতালিকা সংক্রান্ত খবর আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন!
ক্লিক করুন এখানে- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দের নির্দেশ ,৭ দিনের মধ্যে ৬ নম্বর দিতে হবে! পাস করলে ২ সপ্তাহের মধ্যে ২০২২ এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় !
UPPER PRIMARY MERIT LIST
প্রাথমিকে খারিজ অভিজিতের গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ! প্রাথমিকে অংশ নিতে পারবেন না উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকেরা !
আপর দিকে ঐ একই বেঞ্চ গতকালে একটা গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেছেন! ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকেরা প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকদের মতো ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ করে দিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় উচ্চ- প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের অংশগ্রহণের নির্দেশে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ দিক বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় ছিল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকেরাও সমান সুযোগ পাবেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন ২০১৬-র ৬(৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্তরে মোট শূন্যপদের ১০ শতাংশ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ, এই আসনগুলিতে প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকরাই আবেদনের যোগ্য। কিন্তু ওই সংরক্ষিত আসনে অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন উচ্চ প্রাথমিকের বেশ কয়েকজন পার্শ্বশিক্ষক। গত বছরের ২১ নভেম্বর সংরক্ষিত আসনগুলিতে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদেরও অংশগ্রহণের ছাড়পত্র দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একদল চাকরিপ্রার্থী ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন। মামলাকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, দু’টি পৃথক প্রক্রিয়া। তাই এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরের চাকরিতে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকেরা সংরক্ষণ পেতে পারেন না বলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক এবং উচ্চ-প্রাথমিক এই দুটি স্তরে শিক্ষাগত পরিকাঠামোয় যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। সে কারণেই উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিক স্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের যোগ্য নন। উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা অংশ নিতে পারবেন, কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে তা স্পষ্ট জানিয়েছে।
সম্প্রতি অধিকারের প্রশ্নে হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেখানে বিএড প্রশিক্ষিতদের কোনও সুযোগ থাকছে না। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করেছিল, বিএড ডিগ্রিধারীরা শুধুমাত্র উচ্চ-বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে হাতিয়ার করে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এর জেরে আর ২০২২ সালের বিজ্ঞপ্তি মতো উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা আর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।