WB 32000 Case Division Bench Order Copy– এই মুহূর্তের একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে ! আমরা পর্ষদের লিস্টটা পেয়েছি যেটা নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এবং ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার কপিতে বারবর উঠে এসেছে ! নীচে এই লিস্ট টার ডাউনলোড লিঙ্ক শেয়ার করা হল! এই পিডিএফ লিস্ট থেকে ঐ ৩২০০০ বা ৩৬০০০ চাকরি প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে! যাঁদের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছিল এবং ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ফের একটা স্বস্তি মিলেছে!
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে আগামী (WB 32000 Case Division Bench Order Copy) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারও চাকরি বাতিল হচ্ছে না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবার তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে তার আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে! ধারোনার ভিত্তিতে এবং তাড়াতাড়ি করে কোনও অর্ডার পাস করা হবে না!
WB 32000 Case Division Bench Order Copy-এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারবেন। এটা সিরিয়াল নম্বর ১৯১ এ দেওয়া আছে! আপনারা কোলকাতা হাইকোর্টের অফিশিয়াল সাইট থেকেও এই অর্ডার কপিটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন- সাইটের লিঙ্ক হল www.calcuttahighcourt.gov.in
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্যানেল তৈরি হয়। তাতে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন মোট ৪২,৬২৯। এর মধ্যে প্রশিক্ষিত ১২,৪৪৩ জনকে নিয়ে বরাবরই কোনও বিতর্ক নেই। তবে গত ১২/০৫/২০২৩ বাকি ৩২,০০০ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ না থাকায় তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, নতুন করে ইন্টারভিউ পাস করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন। না হলে চাকরি খোয়াতে হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের আসল সংখ্যা ৩০,১৮৫, ৩৬ হাজার নয়। লেখায় ভুল হয়েছে। আদালত সেটা সংশোধন করে ৩২ হাজার করে।
WBBPE (West Bengal Board Of Primary Education) বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে 2014 Primary Break up scores of the TET-2014 qualified empaneled candidates এর সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। আপনারা এই ওয়েবসাইটে www.wbbpe.org গিয়ে PDF ফাইল ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারবেন। এই মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে পেন্ডিং রয়েছে! পর্ষদের নোটিশের লিঙ্ক নীচে দিলাম যেই নোটিশের ভিত্তি করে এই কেসের গ্রউন্ড তৈরি করা হয়েছে !
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে দায়ের হওয়া যে মামলার প্রেক্ষিতে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়, ডিভিশন বেঞ্চে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল পর্যদ এবং চাকরি হারানো প্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, সঙ্গতভাবেই মামলাকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ডিভিশন (WB 32000 Case Division Bench Order Copy) বেঞ্চও মামলাকারীদের ওই আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাও তারা খতিয়ে দেখতে চায়। তাই এই মামলার শুনানি চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। । নির্দেশনামায় ‘সোশ্যাল জাস্টিস’-এর কথা তুলে ধরেছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিচার যদি বিলম্বিত হয় তা হলেও যেমন সঠিক বিচার হয় না, তেমনই বিচার যদি তাড়াহুড়ো করে হয়, সেক্ষেত্রেও সুবিচার হয় না।”
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে আগামী তিন মাসের (WB 32000 Case Division Bench Order Copy) মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশই বহাল থাকবে বলে এদিন জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ আগের নির্দেশ অনুযায়ী পর্ষদকে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ওই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে। পর্ষদকে আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ফের মামলার শুনানি হবে। এর মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
শুক্রবার রায় দানে আদালত জানিয়েছে, ওই ৩২ হাজার (WB 32000 Case Division Bench Order Copy) পদে পুনরায় এবং স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে। এবং তা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশমতোই করতে হবে। এর জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। শুক্রবার হাই কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে। সেপ্টেম্বরে মামলাটি আবার শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
প্রায় ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে (WB 32000 Case Division Bench Order Copy) মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়ে প্রশিক্ষণহীন অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারভিউয়ে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা থাকলেও বহু ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে হবে প্রাথমিক পর্ষদকে। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চও জানিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে অগস্ট মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া (এ ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া) করতে হবে।
এই মামলার অর্থাৎ ঐ ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার সর্বশেষ আপদেতঃ- জানা গিয়েছে ঐ ৩২,০০০ ক্যান্ডিডেট ডিভিশন বেঞ্চের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার দিন সুপ্রিমকোর্টে কেস ফাইল করতে চলেছে! তাঁদের দাবি ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্টে দিয়েছে! তাও কেন তাঁদেরকে আবার নতুন করে ইন্টার ভিউ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে ?