হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরি প্রার্থী। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও গত ২৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, তথ্য যাচাই করে মামলাকারী ৭৪ জনের মধ্যে ৬২ জনকে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু তার পরে প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও নিয়োগ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এনসিটিইর নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
এই অভিযোগে মামলা করেছিলেন মোট ৭৪ জন চাকরি প্রার্থী। সেই মামলায় গত ১০ই এপ্রিল মামলাকারীদের তথ্য যাচাই করে তাদের এই বছরের জুনের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অভিযোগ, সেই সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনও চাকরি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয় বিচারপতি বসুর এজলাসে।
তিনি পরে জানান, শুধু কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করা হয়েছে তাই নয়, কোন ৬২ জন যে যোগ্যতামান পেরিয়েছেন, তা জানায়নি পর্ষদ। মামলার মূলে ছিল ২০২০-র নিয়োগে নম্বর বিভাজনের জটিলতা।
এনসিটিইর নির্দেশিকা অনুযায়ী,স্নাতকে অনার্স ও পাশের নম্বর মিলিয়ে ৫০ শতাংশ হিসাব করতে হবে। পর্ষদ তা করেনি। এপ্রিলে কোর্ট নির্দেশ দেয়, জুনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পরে ইন্টারভিউ নিয়ে জানানো হয় ৬২ জন যোগ্যতামান পেরিয়েছেন। তবে তাঁদের নাম জানানো হয়নি। পর্ষদ কোর্টে জানিয়েছে কোন শূন্য পদে নিয়োগ হবে জানতে শিক্ষা সচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখনও সেই বিষয়ে কোনও উত্তর দেয়নি ! তাই এখনই তাঁদের নিয়োগ করা যাচ্ছে না ! শূন্য পদ পেলে দ্রুত নিয়োগদের ব্যাপারে ঘোষণা করবে পর্ষদ।