This Post Contents
WB Job Cancellation Process 2023:চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া আপাতত নয়, নির্দেশ আদালতের, ঝুলেই রইল চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও কাটল না জট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের ৮৪২ জন শিক্ষাকর্মী ও ৯৫২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পর ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ!
হাই কোর্টের নির্দেশে,নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়,চাকরি হারিয়েছেন নবম ও দশম শ্রেণির ৯৫২ জন শিক্ষক, গ্রুপ সি’র বহু এবং গ্রুপ ডি’র ৮৪২ জন প্রার্থী। ঐ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরিহারারা(WB Job Cancellation Process )। বুধবারের শুনানিতে, আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ঝুলেই রইল চাকরিহারাদের ভাগ্য। ফলে কাটল না জট!
WB Job Cancellation Process
এই দিকে কিছু দিন আগেই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের উপর স্টে জারি করে শীর্ষ আদালত! কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় ২৫০ এর বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭-তে চাকরি পাওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০২২ সালে চাকরি খুইয়েছিলে।
ঐ চাকরি হারা প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, হাইকোর্ট তাঁদের বক্তব্য না শুনেই একতরফা ভাবে তাঁদের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টকে ওই শিক্ষকদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেয় কিছু দিন আগেই । কিন্তু নিয়োগের সমর্থনে কোনও সদর্থক নথি- প্রমাণ দেখাতে না পারায় ফের কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে ২৫৫ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিলেন। তিনি গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তিন দফায় ওই ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
এই শূন্যপদগুলিতে দ্রুত নতুন নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্টের এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো প্রাথমিক শিক্ষকরা। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের কলকাতা হাই কোর্টের কাছে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেয়। সেইমতো তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টে গেলেও তাদের নিয়োগ যে স্বচ্ছ, সেটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। ফলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তারপরই নতুন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো প্রাথমিক শিক্ষকরা। এদিন শুনানিতে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
আরও পরুনঃ WBBPE Interview list 2023
আরও পরুনঃ WB TET 2023:এই বছরেই নতুন প্রাথমিক টেট,কমছে অ্যাকাডেমিক স্কোরের গুরুত্ব ! বাড়ছে টেট পরীক্ষার গুরুত্ব !
আজকে অর্থাৎ ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলারও শুনানি হয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চে । সেখানে শীর্ষ আদালত কোলকাতা হাইকোর্টের কাছে তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বলে খবর!
এই দিকে আজকে নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ঝুলে রইল চাকরিহারাদের (WB Job Cancellation Process )ভাগ্য। আপাতত চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি অবধি শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের(WBSSC Class 9-10) নবম-দশমের ৮৪২ জন শিক্ষাকর্মী ও ৯৫২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল করা যাবে না চাকরিহারাদের। আবার তাঁদের চাকরি নিয়ে পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তার ফলে এখনও বজায় রইল জটিলতা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ওইদিন ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে চাকরিহারাদের।
চাকরি বাতিলের আগে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের বক্তব্য শুনেছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE)ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়ার চিঠি রয়েছে কি না, ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পেতে পর্ষদে জমা দেওয়া আবেদনের প্রতিলিপি রয়েছে কি না, নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণে টেট পাশের নথি রয়েছে কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তরে মামলাকারীরা কিছুই দেখাতে পারেননি বলে সংবাদ পত্রে খবরে উঠে এসেছিল।