ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ আরও বাড়তে চলেছে কি না, সেটা আজ, সোমবার পরিষ্কার হতে পারে। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ছ’মাসের জন্য কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময়সীমা এবার শেষ হচ্ছে ২৬ শে মে । কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত অর্থ দপ্তরের কোনও নির্দেশিকা রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি।
কর্মচারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে এ বার বেতন কমিশেনর মেয়াদবৃদ্ধির সঙ্গে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হবে বলে জানা যাচ্ছে অন্তত আগামী চার মাসের মধ্যে যাতে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া যায়।
নবান্ন চাইছে যাতে কমিশনের দ্রুত রিপোর্ট পেশ করুক যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাইনে বাড়তে চলেছে । এবং পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্যই কি এই দ্রুত রিপোর্ট পেশ ?
লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ না করার কারণ হিসেবে বলা হয় ,কিন্তু গত কালকে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন আদর্শ আচরণবিধি তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তার নির্দেশনা ও জারি করা হয়েছে।
প্রতিদিনই সরকারি কর্মীদের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘভাতা ও বেতন কমিশন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকের ব্যাখ্যা, এর প্রতিফলন ঘটেছে ভোটের পোস্টাল ব্যালটেও।
গত ১ জানুয়ারি থেকে চালু ১০% অন্তর্বর্তী ভাতাকে ৭% মহার্ঘভাতায় রূপান্তরিত করে তার সঙ্গে আরও ১৮% বকেয়া মহার্ঘভাতা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে এ বছর থেকেই সরকারি কর্মীরা হাতে ১২৫% মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার সুযোগ নেই। এর পরে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেতন কমিশনের সুপারিশটাই জরুরি।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন এখনও কর্মীদের নতুন বেতন হার সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেনি।২৭ মে-র পর কমিশনকে কাজ চালিয়ে যেতে গেলে সময়সীমা আরও বাড়াতে হবে। ফলে জারি করতে হবে নির্দেশিকা যা আজকে অর্থাৎ ২৭ শে অর্থ দপ্তর তার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সম্ভাবনা প্রবল।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন কয়েকটি পর্যায়ে বেতন কাঠামোর সুপারিশ পেস করবে বলে জানা যাচ্ছে ।
কমিশনের প্রথম পর্যায়ের সুপারিশে নতুন বেতন হারের বিষয়টি থাকবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সুপারিশে মূলত সরকারি কর্মীদের অন্যান্য ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধার বিষয় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট জমা দেয়ার বেপারে নিম্ন লিখিত কিছু ঘটনা ঘটতে পারে :—-
১) প্রথম পর্যায়ে রিপোর্ট জমা করে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য সময় বারোনোর জন্য আবেদন জানানো হতে পারে।
২) কোনও রিপোর্ট জমা না দিয়ে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারে।
৩) বেতন বাড়ানো নিয়ে সুপারিশ সরকারের কাছে জমা করতে পারে, কিন্তু তার তার চান্স খুব কম যেহুতু এখনও অনেক শুনানী বাকি আছে বলে জানা যাচ্ছে।
৪) কর্মচারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে এ বার বেতন কমিশেনর মেয়াদবৃদ্ধির সঙ্গে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হবে। অন্তত আগামী চার মাসের মধ্যে যাতে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া যায়।
উপরিউক্ত যেই কারনটি হক না কেন তার জন্য একটা নোটিফিকেশন জারি করতে হবে এবং সেই নোটিশটি আজ অর্থাৎ ২৭ শে মে জারি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন যদি ধরে নেওয়া হয় যে আর পে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না তাহলে কমিশন সরকারের কাছে কর্মীদের নতুন বেতন হার সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ পেশ করবে এবং সেই সুপারিশ সরকার তা খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করবে !
এবং সব কিছু খতিয়ে দেখার পর সুপারিশ গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তারপর তা কর্মচারীদের জন্য লাগু কখন করা হবে তা সরকার জানাবে।
***পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আপনি কি মনে করছেন তা নীচে কমেন্ট বক্স-এ আমাদের জানান।***