WB Primary Case– প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দুর্নীতি-যোগ নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির।ইডির আইনজীবী আবেদনে জানান, মানিকের বাড়িতে তল্লাশির সময় একটি সিডি থেকে দুটি ফোল্ডারের সন্ধান মেলে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মানিকবাবুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটারের দু’টি ফোল্ডারে।
WB Primary Case
তার মধ্যে একটিতে চার হাজার টেট পরীক্ষার্থীর নাম উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইডি জেনেছে যে, এর মধ্যে ২৫০০ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন।তালিকার বাকিদের বর্তমান কি নিয়োগ করা হয়েছে কি হয়নি ?
সেই তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। বাকি তথ্য তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি এই কথা জানিয়েছে।
ওই চাকরি টাকার বিনিময়ে হয়েছে কি না, তারও তদন্ত চলছে(WB Primary Case) । মানিকবাবুর বাড়িতে ওই তথ্য সম্বলিত সিডি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি।
উদ্ধার হওয়া কম্পিউটারের একটি ফোল্ডারে প্রথমে ৬১ জনের নাম পাওয়া যায় বলে খবরে উঠে আসে। দেখা যায়, তার মধ্যে ৫৫ জনের চাকরি হয়েছে। এখান থেকেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়।
ওই ফোল্ডারটি ‘স্টাডি’ করে মোট ৪ হাজার নাম পাওয় যায়। সেই তালিকা পাঠিয়ে ইডি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চায়, এদের মধ্যে কতজন স্কুলে চাকরি পেয়েছেন? পর্ষদ তখন ২৫০০ জনের চাকরির কথা জানায়।
পরবর্তী তদন্তে জানা যায়, এই ২৫০০ প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই পরীক্ষায় বসেননি। কিছু প্রার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। সেরকম কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়।
গত ১৪ দিনে হেফাজতে থাকাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের একের পর এক কীর্তি’র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইডির।
মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে বলে আদালতে গতকালে ইডি দাবি করেছে। আবার অন্তত আড়াই হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলেই ইডির সন্দেহ।
১৪ দিন ইডি হেফাজতের পর মঙ্গলবার ফের ব্যাঙ্কশাল। আদালতে পেশ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। দু’পক্ষের আবেদন শুনে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।