WB Primary CBI Inquiry Court Case- ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ করে । কিন্তু ফের দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করে, তা বেআইনি বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট !
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির(WB Primary CBI Inquiry Court Case)সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশে একসঙ্গে প্রায় ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণা করলো৷ কাল থেকে এই শিক্ষকরা নিজেদের স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না৷ আজকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
WB Primary CBI Inquiry Court Case
269 Primary Teacher List PDF download link {Termination of appointment of primary school teachers in compliance with the order of the Honorable High Court, Calcutta passed on 13.06.2022,PDF list}-Click Here
আজকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলাটি ওঠে কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি হয়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে ,২০১৫ সালে শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়।সেখান থেকে ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলে।
কিন্তু 2017 সালে সেখান থেকে ফের দ্বিতীয় লিস্ট দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে একাধিক অনিয়ম নিয়ে মামলা ও দায়ের করা হয়।
যে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করে, তা বেআইনি বলে আজ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
ওই তালিকা অনুযায়ী ২৬৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের সচিবকে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআই দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
পর্ষদের আইনজীবীর দেওয়া তথ্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কীভাবে ২৬৯ জনের জন্য নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷
পর্ষদ আগের শুনানিতে জানিয়েছিল,প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে তাঁদের ১ নাম্বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সেই নাম্বার দেওয়ার ফলে তারা পাস করে।
কোর্ট সেই প্রশ্ন ভুলের অজুহাতে কীভাবে শুধুমাত্র ২৬৯ পরীক্ষার্থীর এক নম্বর করে বেড়ে গেল, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে। বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?’
কীসের ভিত্তিতে এই ২৬৯ জনকে চিহ্নিত করা হল, তাও জানতে চান তিনি৷ এর উত্তরে পর্ষদের আইনজীবী জানান, যোগ্যদের বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলন হয় এপিসি ভবনে। আন্দোলনকারীরা বার বার পর্ষদে আবেদন করেন যে তাঁরা যোগ্য। জেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদন থেকেই প্রশ্ন ভুলে ১ নম্বর করে যোগ করে ২৬৯ জন টেট উত্তীর্ণ হন বলে কোর্ট এ আজকে জানান পর্ষদ আইনজীবী।
এছাড়াও কোর্ট NIC কে এই কেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। NIC হাতে ওয়েবসাইটের যাবতীয় ডাটা সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব থাকে। CBI এবং NIC কে এক সঙ্গে কাজ করতে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের অরিজিনাল মার্কস বের করতে নির্দেশ দেয় কোর্ট।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি 15ই জুন দুপুর ২টার পরে হবে বলেও জানা গিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের বিভিন্ন নোটিশ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।প্রাইমারি নিয়ে আরও খবরাখবর পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমি wbedu.in যুক্ত হতে চাই।