WB Primary merit list- এবার দুর্নীতির অভিযোগে এক গুরুত্বপূর্ণ কোর্টের অবজারভেশন সামনে এল। এবার কোর্টের নির্দেশ মতন প্রাথমিক পর্ষদকে প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ {WB Primary merit list} মেধাতালিকা কোর্টে জমা করতে হবে। আজকে মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর বেঞ্চে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানির সময় কোর্টের এই অবজারভেশন সামনে এসেছে।
বলা যেতে পারে আজকের এই রায়ের ফলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও রাজ্যের অস্বস্তি বাড়ালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পর্ষদকে ২০১৬ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মেধাতালিকা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WB Primary merit list
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে দুই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ মেধাতালিকা {WB Primary merit list} আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে এই দুই টেটের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা তালিকা ১লা সেপ্টেম্বর আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই সম্পূর্ণ মেধাতালিকায় থাকবে টেটের নাম্বার , একাডেমিকের নাম্বার, ট্রেনিং এবং ইন্টারভিউ এর নাম্বার বলে জানা গিয়েছে!
২০১৬ সালের মেধা তালিকা মানে ২০১৪ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১১ই অক্টোবর টেট পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় মেধাতালিকা। সেই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। ঐ দ্বিতীয়{WB Primary merit list}মেধাতালিকা থেকে ইতিমধ্যেই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণা করে আদালত!
২০২০ সালের মেধাতালিকা মানে ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগের {WB Primary merit list} মেধাতালিকা। যার পরীক্ষা ঐ সালেই{২০১৪ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১১ই অক্টোবর টেট পরীক্ষা হয়েছিল}। তাঁরা টেট পাস করেছিল কিন্তু তখন তাঁদের নিয়োগ করা হয় নি। পরে ফের ১৬৫০০ শূন্য পদ সৃষ্টি করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
কিছু দিন আগেই ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি আরটিআই মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে মামলাকারীদের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে ঐ ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনও প্রায় ৬০০০ এর মতন শূন্য পদ পরে রয়েছে। সেখানে নন-ইনক্লুডেড-দেরকে নিয়োগ করা হোক!
কিন্তু পর্ষদ কোর্ট জানায় ৬০০০ নয় এখন পরে থাকা শূন্য পদের সংখ্যা হল ১১১৪ টি । এই শূন্য পদ কোর্ট চাইলে মামলাকারিদের নিয়োগ করা যেতে পারে !
যেহেতু পর্ষদের এবং মামলাকারীদের শূন্য পদ মিলছে না তাই কোর্ট উভয় পক্ষকে একসাথে বসে এই বিষয়ে একটি সমাধান সুত্র বের করতে নির্দেশ দেয় এবং সঙ্গে সেই বৈঠকে পর্ষদ সাভাপতিকে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়।
আজকের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মামলাকারীদের বৈঠকে আপডেট
আজকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৬ জন নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে একটা মিটিং করেছেন। মিটিং শেষে চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর কথা শুনে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হন। শিক্ষামন্ত্রী মিটিং শেষে জানান যে, আইন মেনে বাকি পরে থাকা চাকরি প্রার্থীদের কিভাবে নিয়োগ করা যায় সেই নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। চাকরিপ্রার্থীদের আগামী সোমবার তাঁদের সমস্ত দাবি দাবা লিখিত আকারে ফের জমা করতে বলেছেন।