প্রাথমিকে নতুন নিয়োগও থমকে গেল! ১২ হাজার চাকরির ভাগ্য ঝুলে! শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট! – ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রায় ১২০০০ শূন্য পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য নোটিশ জারি করে! সেখানে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট পাশরা আবেদন করে ! ইতিমধ্যেই ঐ শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রায় শেষ তম বা ১৯ তম ইন্টারভিউের প্রক্রিয়া শেষ করেছে পর্ষদ !
কিন্তু গতকালেই ২০২২ সালের , ১২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ। ফলে ঝুলে রইল রাজ্যের ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির ভবিষ্যৎ। ৪ সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে এখন ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা চিন্তিত! একজন ২০১৭ টেট প্রার্থী জানান- “২০১৭-তে আমরা টেট- পরীক্ষার জন্য ফর্ম জমা দিয়েছিলাম। এর পর ২০২১-এর জানুয়ারিতে টেট হয়। ৯৮৯৬ জন পাশ করে। ১১,৭৬৫ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট অন্তবর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়ায় আমরা খুবই হতাশ।”
২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার কারণেই তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ফলে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায় নির্দেশ দেন, ডিএলএড পরীক্ষার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদেরও ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট উত্তীর্ণদের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষিতরা। নির্ধারিত কোর্স শেষ না করে কীভাবে প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে তাঁরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় যাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়নি, তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
WB PRIMARY RECRUITMENT 2022
এর বিরুদ্ধে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিদলের ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এখানে ক্লিক করে সেই অর্ডার কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন(serial no 213)!
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবেই চালাচ্ছে। রাজ্য সরকার চাকরি দেওয়ার জন্য তৈরি। মামলার ফলেই জটিলতা তৈরি হচ্ছে ! আরও একবার মামলার জটে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেল।
এই মামলার ফের শুনানি হবে ৪ সপ্তাহ পরে ,তখনই এই নিয়োগের আপডেট সামনে আসবে!
কোন স্তরে নিয়োগ | প্রাথমিক স্তরে |
কোন রাজ্যে | পশ্চিমবঙ্গে |
ক্লাস | ১-৫ |
শূন্য পদ | ১১,৭৬৫ টি |
বেতন | ক্লিক করুন এখানে |
আবেদনকারী | ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট পাস |
ইন্টারভিউ | ১৯ তম ইন্টারভিউ কমপ্লিট |