This Post Contents
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গতকালকে প্রাথমিক (wb primary recruitment 2022) শিক্ষা পর্ষদের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন! সেখানে তিনি এবং পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল মহাশয় মিলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন! ঐ অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক আপডেট সামনে আসে! রাজ্য সরকার ও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বরাবরই আগ্রহী, সেই কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিলেন বোর্ডের সভাপতি গৌতম পাল। কিন্তু প্রাথমিক টেটের ২০১৪ সালের ব্যাচের চাকরিপ্রার্থী ও ২০১৭ সালের পরীক্ষার ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীরা যে নিজেদের মধ্যেই আইনি লড়াইয়ে নেমে গিয়েছে,সেই নিয়ে তিনি কিছু তথ্য জানালেন।
এখানে ক্লিক করুন প্রাথমিক পর্ষদের নতুন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে!
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন ওয়েবসাইটের বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল, উপসচিব পার্থ কর্মকার, একাধিক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়,“প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে এবং আধুনিকীকরণে, পর্ষদের দু’টি বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে প্রযুক্তির অনুপ্রবেশ ও প্রয়োগ সম্ভব এবং ত্বরান্বিত হবে।”
প্রাথমিক টেটের ৮২ vs ৮৩ কেসের সঠিক খবর! কারা জিতেছে? জেনে নিন! হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ!-এখানে ক্লিক করুন এই নিউজটি পড়তে!
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের থেকে ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাবে।” এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (wb primary recruitment 2022) সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্যে সমর্থন জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের জন্য আমরা এখনও আটকে আছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করব।”
আদালতের মামলার জটে আটকে রয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালে প্রায় ১১৭৬৫টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, কিন্তু এখন আইনি জটের জন্য সেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না! সেই কথাই এদিন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্য সরকার ও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বরাবরই আগ্রহী, সেই কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিলেন বোর্ডের সভাপতি গৌতম পাল। কিন্তু প্রাথমিক টেটের ২০১৪ সালের ব্যাচের চাকরিপ্রার্থী ও ২০১৭ সালের পরীক্ষার ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীরা যে নিজেদের মধ্যেই আইনি লড়াইয়ে নেমে গিয়েছে, সেই কথাও বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বললেন, “সরকার চাকরি দিতে চাইছে। আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৪ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছে, শুধু আমাদের দিন স্যর, ২০১৭ সালের ব্যাচকে দেবেন না। আবার ২০১৭ সালের ব্যাচও আসছে। তারা বলছে, স্যর শুধু আমাদের দিন, ২০১৪ সালের ব্যাচকে দেবেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে চলে যাচ্ছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, বোর্ডকে পার্টি করা হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি আরও বললেন, “সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে আমরা প্য়ানেল প্রকাশ করতে পারছি না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাবে।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী উভয়েই এদিন আবারও বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী, তাঁরা কেবল আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০২২ (wb primary recruitment 2022) সালের যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেখানে তাঁরা প্রায় ১১৭৬৫ টি শূন্য পদ রেখেছিল। ঐ শূন্য পদে ২০১৪ টেট পাস ট্রেন্ড এবং ২০১৭ টেট পাস ট্রেন্ড চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেছিল!
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ঐ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করেছে! কিন্তু যেহেতু কিছু মামলা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে চলছে তাই তাঁরা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারছে না! এই (wb primary recruitment 2022) মামলাটির শুনানি আছে সেপ্টেম্বর মাসে! দেখা যাক এই নিয়ে কোনও আপডেট সামনে আসে কিনা!