WB Primary TET Court Case-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একাধিক মামলা চলছে হাইকোর্টের সিঙ্গেল এবং ডিভিশন বেঞ্চে। গত কালকে ডিভিশন বেঞ্চ থেকে একটি মামলার গুরুবপুরন আপডেট সামনে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৪ টেট থেকে একটি অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই প্যানেল প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনওভাবেই সমগ্র শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়নি এমনই মনে করে রাজ্য ।
গতকালকে প্রাথমিক নিয়োগে {WB Primary TET Court Case} দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সেই রকম বক্তব্য পেশ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে{সিবিআই তদন্তের} চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। একধিক অনিয়ম হয়েছে বলে অনেকে এই ২০১৪ টেট নিয়ে মামলা দায়ের করে।
WB Primary TET Court Case
ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সময় ২০১৪ টেট থেকে নিয়োগ নিয়ে {WB Primary TET Court Case} বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, এজি বলেন, প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার চার বছর পর্যন্ত কোনও অভিযোগ ওঠেনি। এক্ষেত্রে ২৭৩ জনের যে অতিরিক্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটি ভুলবশত হয়ে থাকতে পারে। এর বাইরে কোনও বেনিয়ম হয়নি। তাহলে অপরাধের প্রশ্ন উঠছে কেন? গোটা প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? যদিও আইনে অতিরিক্ত প্যানেল তৈরির সংস্থান রয়েছে বলেও জানান এজি, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ।
শুধু ঐ ২০১৪ টেটের অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ নয় ,এদিন এজি বোর্ড সভাপতিকে অপসারণ এবং এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কোনও দিন আদালত মাত্র একদিনের শুনানির ভিত্তিতে কীভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে?
এর পর কোর্ট সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট চান । সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, আদালতের নজরদারিতে সিবিআইয়ের ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) কাজ করছে। সিট গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। এই মুহূর্তে তাঁদের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। এরপরই আদালত জানায়, সমস্ত নথি সহ তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিআইকে আদালতে পেশ করতে হবে।
এদিকে, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈনকে তলব করেছিল সিবিআই। গতকালে তিনি সিবিআই দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন বলেও খবর সামনে এসেছেছিল।এদিনই স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তা কমিশনের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়েছে।সেই লিস্ট দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই মেধা তালিকায় এসএসসি যদি নিয়োগের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে পরবর্তী নিয়োগের ছাড়পত্র দেবে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এই মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য ১৫ জুলাই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল উচ্চ আদালতই। ঠিক তাঁর একদিন আগেই সেই তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন। এই নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষক নিয়োগের মামলার শুনানি রয়েছে আগামি ২০শে জুলাই। বিভিন্ন নোটিশ এবং আরও খবর দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
অভিজিৎ বাবু যা করছেন খুব ভালো করছেন, আমাদের সকলের ওনার পাশে থাকা দরকার, উনি যা করছেন তাতেকরে ভবিষৎ প্রজন্মের ভালো হবে, এই ঘুষ দিয়ে চাকরি করা শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রী দের পড়ানো তো দূরের কথা ছাত্র ছাত্রী দের নাম পর্যন্ত ঠিক করে লিখতে পারেন না, সুতরাং তদন্ত হক এবং ঐসমস্ত শিক্ষক দের বরখাস্ত করা হোক।