This Post Contents
আজকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক(Administrative review meeting, South 24 Parganas )ছিল। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকের শুরু থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশেষত স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি৷
Wb school may close again
স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে৷ ওমিক্রনও বাড়ছে৷ এর মধ্যে স্কুল, কলেজ খুলে রাখা যাবে কি না দেখে নাও৷ মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে৷ কোভিড প্রোটোকল মেনেই সব করতে হবে৷’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আক্রান্ত বেশি হলে ফের আমাদের কিছুদিনের জন্য স্কুল, কলেজ ছুটি করে দিতে হবে৷’
ছাত্রছাত্রীদের জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর 16ই নভেম্বর স্কুল খোলা হয়,ক্লাস 9,10,11 এবং12 ক্লাসের জন্য। এর পর নতুন বছরের শুরুতে প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা হবে এই খবরাখবর আসতে শুরু করে। স্কুলকে এর জন্য সেনিটাইজ এবং মেরামত করা হয়। কিন্তু যে ভাবে করোনা নতুন প্রজন্ম ওমিক্রন বাড়ছে তাতে স্কুল খোলা হবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন,নতুন বছরে রাজ্যে স্কুল গুলিতে যে জেলা এবং স্কুল ভিত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে সেই নিয়ে এক এক করে বলতে শুরু করেন।
2022 সালের প্রথম সপ্তাহটি স্টুডেন্ট জন্য উৎসর্গ করা হবে। এই সপ্তাহে স্টুডেন্ট ডে পালন করা হবে সঙ্গে বুক ডে ও উৎযাপন করা হবে। মিড ডে মিল বিতরণ ও এই সপ্তাহেই করা হবে বলে তিনি জানান।
নীচের ভিডিওটি দেখুন আজকের যাবতীয় ঘোষণা নিয়ে
এর পর মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবকে বলেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ হচ্ছে দেশজুড়ে। স্কুল, কলেজ খুলে রাখা যাবে কিনা সেটা দেখে নাও। মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। কোভিড প্রটোকল সিস্টেম মানতে হবে৷’
মুখ্যমন্ত্রী 3 তারিখের মধ্যে একটি রিভিউ মিটিং এর নির্দেশ দেন এই কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনার জন্য। পর্যালোচনা করার পর যদি পরিস্থিতি বেগতিক হয়, তবে আগে থেকেই সতর্কতা নিতে লোকাল ট্রেন কমিয়ে আনা হবে, প্রয়োজনে বন্ধও করা হবে। যদিও এদিনের বৈঠকে এমন কোনও নির্দেশ তিনি দেননি।
ওমিক্রনের চিন্তার কারণে ফের, দরকার পরলে রাজ্যে ৫০ শতাংশ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা বলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কিন্তু এই ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বেশি। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। সংখ্যা কমানোর দায়িত্ব আমাদের বেশি।’ রাজ্যে এখনও চল্লিশ শতাংশ লোকের করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা বাকি রয়েছে।