This Post Contents
এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খবর সামনে আসছে রাজ্যে স্কুল গুলির (WB SCHOOL PTR RATIO) ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নিয়ে! একটি রিপোর্ট সামনে আসে সেখানে রাজ্যে স্কুল গুলির হাল দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়! এই রকম ৮২০৭ স্কুলের লিস্ট জারি হয় !কোথাও ২৮ জন ছাত্রের পিছনে ১৮ জন শিক্ষক! আবার কোথাও ০ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ১০ জন শিক্ষক! যদিও পরে ঐ তথ্যটি ভুল বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “এরকম কোনও তালিকা তৈরি হয়নি।” কিন্তু রিপোর্ট সত্যি হোক আর না হোক এই ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নিয়ে একটি মামলা চলছে কোলকাতা হাইকোর্টে, সেই মামলায় শিক্ষক আছে অথচ পড়ুয়া না থাকা স্কুলগুলির তালিকা তলব করেছে কোলকাতা হাইকোর্ট! এই নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন!
WB SCHOOL PTR RATIO
সম্প্রতি আমরা রিপোর্টে দেখেছি স্কুল আছে, কিন্তু কোনও (WB SCHOOL PTR RATIO) পড়ুয়া নেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নেই বাতি জ্বালাবারও কেউ। শিক্ষিকা আসছেন-যাচ্ছেন আর বেতন পাচ্ছেন। পূর্ব বর্ধমানের জোতগ্রাম সাতগাছিয়া বাজার জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ে বছর দু’য়েক ধরে এমন অবস্থাই চলছে। বছর চারেক আগে এই স্কুলে পড়ুয়া ছিল জনা দশেক। তার পরের বছর পড়ুয়া সংখ্যা কমে দাঁড়ায় চার। গত দু’বছর ধরে স্কুলে কোনও পড়ুয়া নেই।
{ব্রেকিং নিউজ} পর্ষদ সভাপতি ২০২২ সালের ১১৭৬৫ নিয়োগ সংক্রান্ত আপডট! ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য! এই নিউজটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন!
এমতাবস্থায় নিজের জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি চেয়ে তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) কাছে আবেদন করেন, ইংরেজির শিক্ষিকা পার্বতী আঁশ (Parbati Ash)। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার দিন সেই মামলাটি মাননীয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠেছিল শুনানির জন্য! শুনানির সময় মামলাকারীর আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১৩ সালে ইংরেজি বিষয়ের সহশিক্ষিকা হিসেবে ওই স্কুলে যোগদান করেছিলেন পার্বতী আঁশ। দু’বছর ধরে স্কুলটি (WB SCHOOL PTR RATIO) পড়ুয়া-শূন্য। শিক্ষিকা স্কুলে গিয়ে বসে থাকছেন। তাই নিজের জেলার অন্য কোনও স্কুলে তিনি বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা মঞ্জুর করেননি জেলা স্কুল পরিদর্শক। অথচ কাছের স্কুলেই ইংরেজি বিষয়ে দু’জন (WB SCHOOL PTR RATIO) শিক্ষিকার ঘাটতি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
এখানে ক্লিক করুন প্রাথমিক পর্ষদের নতুন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে!
বিচারপতি তখন বলেন, ওই শিক্ষিকাকে ‘উদ্বৃত্ত’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এরপরই রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের কাছে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিশ্বব্রতবাবু জানান, ডিআইদের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। বিচারপতি বসু তখন বলেন, তাহলে ওই ডিআই-কে আমি সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছি। তারপর অবশ্য সময় চেয়ে নেন বিশ্বব্রতবাবু। এরপরই পূর্ব বর্ধমান জেলায় এমন কতগুলি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়া (WB SCHOOL PTR RATIO) নেই অথচ শিক্ষক রয়েছেন, সেই তালিকা তলব করেন বিচারপতি বসু। ১৩ই সেপ্টেম্বরের ,বেলা ১০.৩০ টার সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে,সেই দিনেই ডিআইকে ওই তালিকা আদালতে জমা দিতে হবে।
অর্থাৎ ৮২০৭ টি স্কুলের রিপোর্ট নিয়ে আঙুল তোলা হলেও ,রাজ্যে এখনও অনেক ছাত্র শূন্য স্কুল রয়েছে সেটা ঠিক! এই দিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠেছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, সেখানে অভিযোগ ৩২ বছর ধরে সরকারি অনুমোদন ছাড়ায় চলছে স্কুল! এই রিপোর্ট সামনে আসতেই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রসঙ্গত, ওই স্কুলেই চাকরি করতেন মামলাকারী শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষিকা অবসরকালীন পেনশন ও সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতে সামনে আসে বেহালার বিবেকানন্দপল্লি কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ। সব পক্ষের সওয়াল- জবাব শুনে এ দিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই স্কুল সম্পর্কে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সম্পূর্ণ তথ্য কোর্টে পেশ করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
এ দিন বিচারপতির প্রশ্ন, ৩২ বছর ধরে স্থায়ী অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে চলছিল স্কুল? ছাত্রছাত্রীরা বিনা অনুমোদনের স্কুলে পড়ছে কী ভাবে? স্কুলের রেজিস্ট্রেশন কী ভাবে বহাল রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ? এই ঘটনায় পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
কলকাতা শহরেই চলছে গত ৩২ বছর ধরে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই স্কুল । আর এটা কীভাবে সম্ভব সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেছেন, কী ভাবে এত দায়িত্বহীন হল পর্ষদ? জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি নজরদারি করা?
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এত বছরে তো হাজার হাজার পড়ুয়া ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে। বিদ্যালয় চলছে কোনও স্থায়ী সরকারি অনুমোদন ছাড়াই। তাও আবার ৩২ বছর ধরে? এটা কীভাবে সম্ভব, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে সেটাই জানতে চাইলেন বিচারপতি। তারা যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে পড়তে যায় আর সেখানকার কর্তৃপক্ষ যদি অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতে শুরু করেন তা হলে তো পড়ুয়ারা বিপদে পড়বে!
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী অবশ্য জানান, এমন আরও অনেক স্কুল আছে যাঁদের অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেটা করেনি! তবে অনুমোদনের জটিলতার জন্য পেনশন আটকে থাকতে পারে না বলেও পর্ষদ শুনানিতে জানিয়েছে।