WBSSC 26000 SUPREME COURT CASE-সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ,ফের শুনানি হবে! এসএসসির(WBSSC)আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন জানান, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৪ হাজার চাকরি (WBSSC 26000 SUPREME COURT CASE) কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’ পরবর্তী (WBSSC 26000 SUPREME COURT CASE) শুনানি সোমবার!
হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মামলাটির শুনানি শুরু হল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, “আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?” সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাই কোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।
WBSSC 26000 SUPREME COURT CASE
আজকে শুনানিতে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় -এর কিছু প্রশ্ন!
- ১) শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’
- ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’
- “আসল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তাহলে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবেন কী ভাবে? ”
- “টেন্ডার ছাড়াই নাইসাকে বরাত, মিরর ইমেজ ছাড়াই ওএমআর শিট নষ্ট। এটা তো জালিয়াতি, কীভাবে নিয়োগ হয়েছিল?”
আজকের আউটকাম WBSSC 26000 মামলায়!
এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন- এত সংখ্যক চাকরি বাতিল- এটা বড় সিদ্ধান্ত। যদি আদালতের কাছে অন্য উপায় না থাকে, তাহলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। অর্থাৎ তিনি মনে করছেন, কলকাতা হাইকোর্টের আর হয়তো অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপায় ছিল না, আর কোনও রাস্তা ছিল না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার চাকরি বাতিল করেছে। যা পরিস্থিতি ছিল তাতে অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবকাশ ছিল না।
কলকাতা হাই কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এই সময় নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট, যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
তার পরেই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।প্যানেলে না থেকেও চাকরি করছে, এটা বিশাল দুর্নীতি! তিনি জানিয়েছেন, দুর্নাীতির সুবিধাভোগী কারা সেটা দেখতে হবে। অর্থাৎ দুর্নীতির মূলচক্রী কারা, কারা আদতে লাভবান হলেন সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এই বিষয়টি বের করার জন্যই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে!