কিছু দিন আগেই প্রাথমিকে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।কিন্তু বর্ধিত বেতন এখনও হাতে পায়নি প্রাথমিক শিক্ষকেরা। যদিও এই মাস থেকে বেতন বৃদ্ধি হাতে পাওয়ার কথা উল্লেখ ছিল নোটিশে কিন্তু তা হয় নি বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকরা।
CLICK HERE FOR 6TH PAY COMMISSION,PRT AND OTHER CALCULATOR
প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির যে নোটিশ 26 শে জুলাই প্রকাশিত হয়েছিল তার ক্লারিফিকাশন এর জন্য বিভিন্ন ডিআই আফিসে ডেপুটেশন দিচ্ছেন।
এখনও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি কোন নিয়মে হবে বা কবে হবে তার উত্তর কোনও অফিসে নেই । ফলে প্রাথমিক শিক্ষকরা এখন খুব হতাশাগ্রস্ত যে,কবে এই বেতন বৃদ্ধির সমস্যা সমাধান হবে।
অপর দিকে BGTA এর নেতৃত্বে TGT স্কেলের জন্য আন্দোলন করছেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকেরা। তাদের দাবি সর্বভারতীয় TGT স্কেল পে-ব্রান্ড ৯ হাজার থেকে ৪০ হাজার ও গ্রেড-পে ৪ হাজার ৬০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন বাংলার একজন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পান, পে-ব্রান্ড ৭ হাজার ১০০ থেকে ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা৷ সঙ্গে গ্রেড-পে ৪ হাজার ১০০ টাকা৷
কিন্তু কেন পে কমিশনের আগে এই বেতন কাঠামো পরিবর্তন এর আন্দোলন ??
অনেক শিক্ষিকদের মতে এটাই দাবি আদায়ের শেষ সুযোগ কারণ পে কমিশন একবার কার্যকরী হয়ে গেলে আর এই নিয়ে কিছু করার থাকবেনা বলে জানিয়েছেন শিক্ষিককেরা।
কারণ পে কমিশনের নোসোনাল এফেক্ট এর যে কথা জানা যাচ্ছে সেটা 1.1.2016 থেকে হবে। ফলে শুধু বেতন কাঠামো পরিবর্তন নয় সেটা যেন 2009 রোপা আইন মেনে হয় সেটা দাবি প্রাথমিক এবং গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের। কারণ পে কমিশনের আগে যদি বেতন কাঠামো ঠিক নিয়মে পরিবর্তন না হয় তাহলে বেতন কাঠামো পরিবর্তন এবং বেতন বৃদ্ধি সেই রকম প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষক সংগঠন।
আবার অপর দিকে কিছু শিক্ষক সংগঠনের দাবি প্রাথমিক শিক্ষদের গ্রেড পে পরিবর্তন হোল একটা বেতন বৃদ্ধি প্রক্রিয়া এটা কোন পে কমিশন নয় যে নোসোনাল ফিক্স হয়ে হয়ে আসবে।
ফলে এখন শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন বা বেতন বৃদ্ধি কবে এবং কোন নিয়ম মেনে হবে তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষিকদের এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়।